ওয়াসওয়াসা কী?
ওসিডি বা শূচিবাই হচ্ছে একটি মানসিক ও আচরণগত রোগ। মেডিকেল সাইন্সে এটিকে অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিজঅর্ডার (Obsessive Compulsive Disorder) বলা হয়। সংক্ষেপে বলা হয় ওসিডি (OCD) বাংলায় বলা হয় শুচিবাই। এই রোগে আক্রান্ত একজন ব্যক্তি অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে একই চিন্তার মধ্যে ঘুরপাক খেতে থাকেন এবং এমন সব কাজ বারংবার করার ইচ্ছা অনুভব করেন যে এক পর্যায়ে তা মানসিক যন্ত্রণার সৃষ্টি করে ও স্বাভাবিক কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটায়।
তিব্বে নববী তথা কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক চিকিৎসা শাস্ত্র রুকইয়াহ শারইয়্যাহ’তে এটিকে বলা হয় ওয়াসওয়াসা ( الوسوسة ) । ওয়াসওয়াসা অর্থ হচ্ছে কুমন্ত্রণা, সন্দেহ, দ্বিধাদ্বন্দ্ব, অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রত্যাশিত চিন্তা, অনাহুত ভাবনা ইত্যাদি। মেডিকেল চিকিৎসা শাস্ত্রে এ রোগের কারণ হিসেবে বংশগত, হরমোন সমস্যা, মানসিক চাপ ও পারিপার্শ্বিকতা ইত্যাদিকে দায়ী করে। কিন্তু তিব্বে নববী বা রুকইয়াহ চিকিৎসায় এর প্রধান কারণ হচ্ছে জ্বীন।
শুচিবাই বা ওসিডি রোগটি শারীরিক মানসিক বিভিন্ন কারণে হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটা জ্বীন-জাদুর কারণে হয়ে থাকে। অর্থাৎ ওসিডি রোগটি সাধারণত জ্বীন, জাদু ও বদনজরের কারণে হয়ে থাকে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বা কারো কারো ক্ষেত্রে শারীরিক মানসিক কোনো সমস্যার কারণেও হতে পারে। শুচিবাই রোগে আক্রান্ত অধিকাংশ রোগীই জ্বীনে আক্রান্ত।
কুরআনে সুস্পষ্টভাবে এর প্রমাণ রয়েছে। কেউ সূরা নাস এর অর্থ ভালোভাবে বুঝে পড়েন তাহলেই বুঝতে পারবেন। এর দ্বারা শয়তানের উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষের জীবন’কে দুর্বিষহ করে তোলা এবং ঈমানের ক্ষতি করা। এজন্য আল্লাহ তাআলা শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পানাহ চাইতে নির্দেশ দিয়েছেন। বান্দাকে শিখিয়েছেন কিভাবে ওয়াসওয়াসা থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করতে হবে।
আল্লাহ তাআলা বলেন-
হে নবী তুমি বলো, আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি, মানুষের প্রতিপালক, মানুষের অধিপতি, মানুষের মা’বুদের নিকট- কুমন্ত্রণাদাতা খান্নাসের অনিষ্ট থেকে, যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে, সে জ্বীনদের মধ্য থেকে হোক অথবা মানুষের মধ্য থেকে।
কারো যদি এরকম সমস্যা থাকে তাহলে নিম্নের লক্ষণগুলো মিলিয়ে দেখবেন। মিলে গেলে নজর, জ্বীন ও জাদুর লক্ষণগুলোও মিলিয়ে দেখবেন। আপনার ওসিডি বা ওয়াসওয়াসা রোগের মূল কারণ জ্বীন জাদু বা নজর বুঝতে পারলে মূল চিকিৎসা হিসেবে রুকইয়াহ করবেন। প্রয়োজনে দ্বীনদার অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শও নিতে পারেন। আর যদি মূল কারণ মেডিকেল সংক্রান্ত কোনো সমস্যা হয় তাহলে মেডিকেল চিকিৎসা নিবেন। সাথে রুকইয়াহ করলে অনেক বেশি উপকৃত হবেন।
ওয়াসওয়াসা রোগের লক্ষণসমূহ:
০১) অযু-গোসোল ও নামায (সালাত)-এর বিশুদ্ধতা নিয়ে বারবার সন্দেহ সৃষ্টি হওয়া। ঠিকভাবে সবকিছু হয়েছে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ হওয়া।
০২) অযু-গোসোলের সময় এক অঙ্গ বারবার ধুইতে থাকা। ঠিকভাবে ধোয়া হল কিনা তা নিয়ে সন্দেহ হওয়া।
০৩) নামায (সালাত)-এর রাকাত-সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ হওয়া। বিভিন্ন আরকান সম্পর্কে দ্বিধা-দন্দ্বে পড়া।
০৪) বারবার অযু ভেঙ্গে যাওয়ার সন্দেহ হওয়া। বিশেষকরে নামাযের মধ্যে।
০৫) সর্বদা মাথায় অশ্লীল চিন্তা-ভাবনা আসা। পাপকাজের প্রতি আগ্রহবোধ করা।
০৬) আল্লাহ, রাসূল (সাঃ) ও ইসলামের ব্যাপারে মনের মধ্যে বারবার অবমাননাকর চিন্তা আসা।
০৭) শ্রদ্ধাভাজন কারো সামনে থাকলে মনের ভেতর থেকে বেয়াদবি করার জন্য উস্কানি অনুভূত হওয়া।
০৮) টয়লেটে বা গোসোলখানায় বিনা কারণে অতিরিক্ত সময় ব্যায় করা।
০৯) পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও পরনের কাপড় নিয়ে সন্দেহ হওয়া।
১০) উদাসীনতা। কোনো কিছুই ভালো না লাগা। কাজ-কর্ম ও ইবাদত-বন্দেগীতে অমনোযোগী।
১১) বিনা কারণে সর্বদা চিন্তিত থাকা। বিভিন্ন অহেতুক চিন্তা মাথায় ঘুরাঘুরি করা। ইত্যাদি।
সেলফ রুকইয়াহ পরামর্শ ও প্রেসক্রিপশন:
সমস্যার মাত্রা অনুযায়ী রুকইয়াহ পরামর্শ দুইভাগে ভাগ করলাম। প্রথমে প্রাথমিক স্তরের পরামর্শ অনুযায়ী আমল করবেন। এরপরও সমস্যা থাকলে পরবর্তী পরামর্শ অনুযায়ী আমল করবেন।
প্রাথমিক স্তর:
১. প্রতি ওয়াক্ত সালাতের পর ও রাতে ঘুমের পূর্বে আয়াতুল কুরসি, সূরা ফালাক ও সূরা নাস প্রতিটা ৩ বার বার করে পড়বেন এবং পড়ার পর বুকে ফুঁ দিবেন।
২. ওয়াসওয়াসা এলে সাথে সাথে মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দিয়ে নিচের দুআটি পড়বেন এবং নিজের কাজ বা লক্ষ্যে মনযোগ দিবেন
رَبِّ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِيْنِ – وَأَعُوْذُ بِكَ رَبِّ أَن يَّحْضُرُوْنِ
৩. প্রতিদিন সকাল-বিকাল বা সুবিধামত নির্দিষ্ট ২টা সময়ে রুকইয়াহ করবেন। রুকইয়ার নিয়ম: আপনার সমস্যা মনে করে সুস্থতার নিয়তে মাথায় হাত রাখবেন, এরপর আউযুবিল্লাহ-বিসমিল্লাহ সহ সূরা ফাতিহা তিলাওয়াত করবেন ৭বার। প্রতিবার সূরা ফাতিহা পড়া শেষ করে বুকে ফুঁ দিবেন, আর একদম শেষে দুই হাতে ফুঁ দিয়ে পুরা শরীর মুছে নিবেন।
৪. সূরা নাস ও সূরা হাদীদ ৩ নং আয়াত বেশি বেশি তিলাওয়াত করবেন। যখনই সময় পাবেন বেশি বেশি পাঠ করবেন। পড়ার পর মাঝেমধ্যে শরীরে ফুঁ দিবেন।
৫. সকাল-বিকাল বা সুবিধামত সময়ে প্রতিদিন দুই বার অন্তত ১৫ মিনিট থেকে আধা ঘন্টা করে রুকইয়াহ করবেন। সূরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি, সূরা বাকারাহ প্রথম ৫ আয়াত, সূরা বাকারাহ শেষ দুই আয়াত, সূরা মুমিনুন ৯৭-৯৮ নং আয়াত, সূরা হাদীদ ৩ নং আয়াত ও চার কুল (সূরা কাফিরুন, ইখলাস ফালাক ও সূরা নাস) এইগুলো পড়বেন। সাথে নিচের আয়াত ও দুআ গুলোও পড়ে রুকইয়াহ করবেন।
সূরা আরাফ ১৯৬-২০১
إِنَّ وَلِيِّيَ اللَّهُ الَّذِي نَزَّلَ الْكِتَابَ وَهُوَ يَتَوَلَّى الصَّالِحِينَ * وَالَّذِينَ تَدْعُونَ مِنْ دُونِهِ لا يَسْتَطِيعُونَ نَصْرَكُمْ وَلا أَنْفُسَهُمْ يَنْصُرُون
ــــــــــــــــــــــــــــــــــــ
وَإِنْ تَدْعُوهُمْ إِلَى الْهُدَى لا يَسْمَعُوا وَتَرَاهُمْ يَنْظُرُونَ إِلَيْكَ وَهُمْ لا يُبْصِرُونَ * خُذِ الْعَفْوَ وَأْمُرْ بِالْعُرْفِ وَأَعْرِضْ عَنِ الْجَاهِلِينَ
ــــــــــــــــــــــــــــــــــــ
وَإِمَّا يَنْزَغَنَّكَ مِنَ الشَّيْطَانِ نَزْغٌ فَاسْتَعِذْ بِاللَّهِ إِنَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ * إِنَّ الَّذِينَ اتَّقَوْا إِذَا مَسَّهُمْ طَائِفٌ مِنَ الشَّيْطَانِ تَذَكَّرُوا فَإِذَا هُمْ مُبْصِرُونَ
মাসনুন দুআ
أَعُوذُ بِاللّهِ السَّمِيْعِ الْعَلِيْمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ مِنْ هَمْزِه وَنَفْخِه وَنَفْثِه
أُعِيْذُكُمْ بِكَلِمَاتِ اللّهِ التَّامَّةِ، مِنْ غَضَبِه وَعِقَابِه وَشَرِّ عِبَادِه وَمِنْ همَزَاتِ الشَّيَاطِيْنِ وَأَنْ يَّحْضُرُوْنِ
اَلْلّهُمَّ إِنِّي أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ الْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْجُبْنِ وَالْبُخْلِ، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ غَلَبَةِ الدَّيْنِ، وَقَهْرِ الرِّجَالِ
৬. প্রতিদিন সকালে খালি পেটে রুকইয়াহ করা পড়া পানি পান করবেন। সূরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসি, চারকুল ও আয়াতুশ শিফা ( সূরা তাওবা ১৪, সূরা ইউনুস ৫৭, সূরা নাহাল ৬৯, সূরা ইসরা ৮২, সূরা শুআরা ৮০, সূরা ফুসসিলাত ৪৪ নং আয়াত) প্রতিটা ৩/৭ বার করে পানিতে ফুঁ দিবেন। শুরুতে ও শেষে যেকোনো দরুদ শরীফ পড়ে নিবেন। এরপর এই পানি পান করবেন এবং কিছুটা গোসলের পানিতে মিশিয়ে গোসল করবেন। তবে ৬ নাম্বারে উল্লেখিত সবগুলো আয়াত ও দুআ সহ আয়াতুশ শিফা পড়ে পানি তৈরি করতে পারলে বেশি ভালো হবে।
উপরোক্ত নিয়মে ৩ দিন থেকে ৭ দিন বা ১১ দিন রুকইয়াহ করবেন। মোটামুটি জটিল পর্যায়ের সমস্যাও এতে ভালো হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
উচ্চতর স্তর:
উল্লেখিত নিয়মে রুকইয়াহ করার পরও যদি সমস্যা থাকে বা সমস্যা আরও জটিল হয় তাহলে উপরোক্ত আমলের সাথে নিম্নোল্লিখিত নিয়মে রুকইয়াহ করবেন।
১. প্রাথমিক স্তরের ৫ নাম্বারে উল্লেখিত সকল আয়াত ও দুআ ৩/৭ বার করে পড়ে পানি, অলিভ অয়েল ও মধুতে ফুঁ দিবেন। এক গ্লাস পানিতে এক চা-চামচ মধু মিশিয়ে সকালে খালি পেটে পান করবেন। অন্য সময়েও মাঝেমধ্যে পড়া পানি পান করবেন। কপাল, মাথা ও বুকে অলিভ অয়েল মালিশ করবেন।
২. আয়াতুল হারক, আয়াতুশ শিফা, সিহরের কমন আয়াত, ও তিনকুল রুকইয়াহ শুনবেন বা এইগুলো তিলাওয়াত করবেন।
৩. প্রতিদিন সূরা বাকারাহ এর ৯০ থেকে ১০০ আয়াত বা অন্তত ৫০ আয়াত করে হলেও তিলাওয়াত করবেন। এভাবে প্রতি ৩ দিনে বা সপ্তাহে একবার সম্পূর্ণ সূরা বাকারাহ পড়বেন।
৪. সমস্যা বেশি হলে মাঝেমধ্যে “ডিটক্স রুকইয়াহ” করবেন। ইনশাআল্লাহ এতে খুবই উপকৃত হবেন।
৫. প্রাথমিক স্তরের ৫ নাম্বারে উল্লেখিত আয়াত ও দুআ গুলো পড়ার সময় এগুলোর সাথে নিচের দুআ দুটিও পড়বেন –
اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ كَالَّذِي تَقُولُ وَخَيْرًا مِمَّا نَقُولُ اللَّهُمَّ لَكَ صَلاَتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَاىَ وَمَمَاتِي وَإِلَيْكَ مَآبِي وَلَكَ رَبِّ تُرَاثِي اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ وَوَسْوَسَةِ الصَّدْرِ وَشَتَات الأَمْرِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا تَجِيءُ بِهِ الرِّيحُ
أَعُوذُ بِوَجْهِ اللهِ الْكَرِيمِ وَبِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّاتِ اللَّاتِي لَا يُجَاوِزُهُنَّ بَرٌّ وَلَا فَاجِرٌ مِنْ شَرِّ مَا يَنْزِلُ مِنْ السَّمَاءِ وَشَرِّ مَا يَعْرُجُ فِيهَا وَشَرِّ مَا ذَرَأَ فِي الْأَرْضِ وَشَرِّ مَا يَخْرُجُ مِنْهَا وَمِنْ فِتَنِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ وَمِنْ طَوَارِقِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ إِلَّا طَارِقًا يَطْرُقُ بِخَيْرٍ يَا رَحْمَنُ
এভাবে এক মাস বা প্রয়োজনে আরও বেশিদিন রুকইয়াহ করবেন। উল্লেখিত সবগুলো নিয়ম প্রতিদিন সম্পন্ন করবেন। তবে যদি সময় কম এবং একদিনে সব আমল পালন করা সম্ভব না হয় তাহলে আমলগুলো ধারাবাহিক ভাবে প্রতিদিন পালন করবেন। তবে প্রতিদিন অন্তত সব মিলিয়ে ২-৩ ঘন্টা রুকইয়াহ শুনবেন। যতবেশি রুকইয়াহ করবেন ততই উপকার পাবেন।
৬. রুকইয়াহ করার পাশাপাশি অবশ্যই হিজামা করবেন। ওসিডি সমস্যায় হিজামা বেশ উপকারী। হিজামা খুবই উপকারী বিজ্ঞানসম্মত নববী চিকিৎসা ব্যবস্থা।
বিশেষ নোট:
১. নাপাক থেকে বেঁচে থাকবেন। বিশেষত প্রস্রাবের ছিটা থেকে।
২. অযু-গোসোলের জায়গায় প্রস্রাব করবেন না।
৩. শৌচাগারে প্রবেশ ও শৌচাগার থেকে বের হওয়ার দুআ পড়বেন।
৪. যথাসম্ভব একাকী সময় কাটাবেন না। বরং পরিবার ও লোকজনের থাকার চেষ্টা করবেন।
৫. গোনাহের সকল কাজ এড়িয়ে চলবেন। মুত্তাকি ব্যক্তিবর্গের সাথে থাকবেন এবং দ্বীনি মজলিসে বসবেন।
৬. পুরুষ হলে জামাতের সাথে নামাজ আদায় করবেন।
৭. সবসময় অযু অবস্থায় থাকার চেষ্টা করবেন।
৮. সকল ভালো কাজের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলবেন।
৯. ওয়াসওয়াসা বা সন্দেহকে একদমই পাত্তা দিবেন না।
লক্ষণীয়: এসবের পাশাপাশি যদি বদনজর, জ্বীন ও জাদুর লক্ষণ মিলে যায় অর্থাৎ যদি একাধিক সমস্যা থাকে তাহলে প্রথমে এক সপ্তাহ বদনজরের রুকইয়াহ করবেন। এরপর ওয়াসওয়াসার রুকইয়াহ করবেন, এরপর জ্বীন-জাদুর রুকইয়াহ করবেন। এভাবে এক দেড় মাস বা দুই মাস রুকইয়াহ করার পরও সমস্যা থাকলে, সেলফ রুকইয়াহতে সমস্যা পুরোপুরি ঠিক না হলে অভিজ্ঞ রাকির পরামর্শ নিতে হবে। তবে জ্বীনের সমস্যা বুঝতে পারলে সেলফ রুকইয়াহ’র পাশাপাশি শুরু থেকেই অভিজ্ঞ রাকির কাছে সরাসরি করা ভালো।