রুকইয়াহ কী?
রুকইয়াহ (Ruqyah) অর্থ হল ঝাড়ফুঁক। জ্বীন, জাদু, বদনজর ও শারীরিক, মানসিক এবং আধ্যাত্মিক অসুস্থতা নিরাময়ের কোরআন সুন্নাহ ভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি হল রুকইয়াহ। কোরআনের নির্দিষ্ট আয়াত, হাদিসে বর্ণিত দোয়া এবং নববী চিকিৎসায় প্রয়োগকৃত ও বর্ণিত এবং শরীয়াহ সমর্থিত পদ্ধতি অবলম্বন করে এ চিকিৎসা করা হয়। যা নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম নিজে করেছেন, সাহাবি ও সালাফগণও চলেছেন এই পন্থায়।
রুকইয়াহ আসলে কী?
বর্তমানে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অনেকের মনেই এই প্রশ্নটি আসতে পারে যে আসলে রুকইয়াহ টা কি?
এর উত্তর রুকইয়াহ হল একটি চিকিৎসা পদ্ধতি, আধুনিক ভাষায় পরিচয় করিয়ে দিতে চাইলে এটাকে spiritual healing বলা যায়। অর্থাৎ আধ্যাত্মিক পদ্ধতিতে চিকিৎসা।
রুকইয়াহ কী না?
রুকইয়াহ গায়বি বিষয়ে সংবাদ দেয়া, বশ করা, ২৪ ঘন্টায় ফলাফল দেয়া, এক চুটকিতে সমাধান করার কোন পন্থা না। পছন্দের মানুষকে বিয়ে করা , হারানো জিনিস ফিরে পাওয়া, মামলা মোকদ্দমায় জয়ী হওয়া, অবৈধ আশা পুরন করা ও অসাধ্যকে সাধন করার কোন মন্ত্র না। প্রচলিত কবিরাজি, তুলা রাশি, জিন হুজুর, জিন হাজিরা, গণকের মতো হাত দেখা বা মন্ত্রের সাথে কোরআন মিশিয়ে ধোঁকা দেয়ার মতো হারাম ও শিরকি পন্থাও রুকইয়াহ না।

রুকইয়াহ’র প্রকারভেদ
রুকইয়াহ দুই প্রকার-
১. রুকইয়াহ শারইয়্যাহ
২. রুকইয়াহ শিরকিয়্যাহ
রুকইয়াহ শব্দটির মধ্যে দুই ধরনের রুকইয়াহ-ই শামিল রয়েছে। তবে রুকইয়াহ শিরকিয়্যাহ অনুসরণ ও গ্রহণ করা জায়িয নয় বরং সম্পূর্ণ হারাম। বর্তমানে রুকইয়াহ শব্দটি দ্বারা সাধারণত রুকইয়াহ শারইয়্যাহকেই বুঝায়। এটিই প্রসিদ্ধ হয়ে গিয়েছে।
রুকইয়াহ শারইয়্যাহ
রুকইয়াহ শারইয়্যাহ হচ্ছে এমন বিষয় বা পদ্ধতি শরীয়াহ যার অনুমোদন দেয়। যার মধ্যে হারাম নাজায়েজ ও কুফরী শিরকি কিছু থাকে না। অর্থাৎ যেসব দোয়া ও পদ্ধতি যেমন হিজামা, দ্বর্ব, ইস্তেফরাগ, ইসহাল রুকইয়াহ গোসল, প্রেশার প্রয়োগ, কালোজিরা, মধু, যায়তুন ইত্যাদি খাওয়া ও ব্যবহার করার মাধ্যমে এবং কোরআনের আয়াত ও বৈধ কোনো বাক্য পাঠ করে ঝাড়ফুঁক বা রুকইয়াহ করা।
ইমাম মুসলিম তার সহীহ মুসলিম গ্রন্থে আওফ ইবনে মালিক আল-আশজায়ী রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন: আমরা জাহেলী/প্রাক-ইসলামী যুগে রুকইয়াহ করতাম, তাই আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল, আপনি এ ব্যাপারে কি মনে করেন? তিনি বললেনঃ আমার সামনে তোমাদের রুকইয়াহ পেশ করো, রুকইয়াহ’তে কোন সমস্যা নেই যদি এতে কোন শিরক না থাকে।
রুকইয়াহ শিরকিয়্যাহ
রুকইয়াহ শিরকিয়্যাহ হচ্ছে এমন সব বিষয় ও সকল কিছুই যা ইসলামী শরীয়াহ বহির্ভূত। এ প্রকারের শরীয়াহ বহির্ভূত বিষয় সম্পূর্ণ হারাম কেননা তাতে আল্লাহ তায়ালা ব্যতীত অন্যের কাছে সাহায্য চাওয়া করা হয়, রাসূল সাঃ এটিকে শিরক হিসেবে বর্ণনা করেছেন। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে যা সংরক্ষণ করেছি, তা হল রুকইয়াহ, আর তাবিজ-তুমার এবং তিওলাহ তথা বশ করার মন্ত্র ও পদ্ধতি শিরক। (মুস্তাদরাকে হাকিম)। এমনিভাবে যে ব্যক্তি বিশ্বাস করে যে রুকইয়াহ নিজেই প্রকৃত কার্যকর এবং উপকারী (আল্লাহর ক্ষমতার দ্বারা নয়) এবং সম্পূর্ণরূপে এর উপর নির্ভর করে তাও শিরক। এছাড়াও যারা তাদের দাবি অনুসারে মুসলিম জ্বিনদের কাছ থেকে সাহায্য চায় এবং তাদের কাছ থেকে আশীর্বাদ চায়। এবং কবরস্থ মৃত ব্যক্তির কাছ থেকে দোয়া চাওয়া, তাদের কাছে কোন কিছু চাওয়া, তাদের কাছে সাহায্য চাওয়া এবং কুরবানীর মাধ্যমে তাদের নিকটবর্তী হওয়া।
সারকথা হচ্ছে কোরআন সুন্নাহ এর বাইরে সকল পদ্ধতিই রুকইয়াহ শিরকিয়্যাহ এর অন্তর্ভুক্ত হবে। অর্থাৎ এমন যেকোনো পদ্ধতিই রুকইয়াহ শারীয়াহ হিসেবে বিবেচিত হবে না তথা বাতিল বলে সাব্যস্ত হবে যেগুলোকে শরীয়াহ অনুমোদন দেয় না, যদিও এমন পদ্ধতি অবলম্বনের মাধ্যমে কেউ সাময়িকভাবে উপকৃত হয়। যেমন—চিকিৎসার জন্য কবর বা শ্মশানের মাটির ব্যবহার কিংবা কোনো বস্তু, কবর বা শ্মশানে পুঁতে রাখা, হারাম জিনিসের ব্যবহার কিংবা তা খাওয়া, রোগীর নাম, মায়ের নাম , চুল , নক , ব্যবহৃত কাপড় বা অন্য কিছু, হায়েজের রক্ত, পেড দিয়ে কিছু করা, কবুতর, মুরগ, বিড়াল বা কোনো প্রাণী জবাই করা বা এগুলোর রক্ত দিয়ে কিছু করা। হরিণের চামড়া, মৃত মানুষ বা পশু পাখির হাড় , লোহা , পুতুল, মূর্তি ইত্যাদি ব্যবহার করা। চিকিৎসার নামে নির্দিষ্ট দিনে/ বারে নির্দিষ্ট সময়ে বিশেষ কোনো কাজ করা ইত্যাদি। এসবই হারাম ও কুফরী শিরকি পদ্ধতি।
সমস্যা আছে কিনা বুঝব কীভাবে?
যেকোনো রোগেরই কিছু না কিছু লক্ষণ, উপসর্গ বা সিমটম রয়েছে। প্যারানরমাল বিষয়টিও তেমনি। কোরআন সুন্নাহের আলোকে অভিজ্ঞ আরব অনারব রাকিদের বই পুস্তক ও আমাদের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা থেকে প্রাপ্ত প্যারানরমাল লক্ষ্মণসমূহ দেখে ডায়গনোসিস করতে পারেন। সুন্নাহ কিওর ঢাকা (Sunnah Cure Dhaka) দিচ্ছে ফ্রি সিমটম ডায়গনোসিস সেবা, এরমাধ্যমে বুঝতে পারবেন আপনার সমস্যাটা প্যারানরমাল কিনা..!
তারপর প্যারানরমাল সমস্যা থাকার সম্ভাবনা পাওয়া গেলে অভিজ্ঞ সিনিয়র রাকি’র সাথে অনলাইন বা অফলাইনে কন্সাল্টেন্সি সেরে অনেকটা নিশ্চিত হতে পারবেন, ইনশাআল্লাহ। এছাড়াও নিশ্চিত হতে এবং সমস্যার গভীরতা ও পর্যায় বুঝতে করতে পারেন ডায়গনোসিস রুকইয়াহ বা রুকইয়াহ টেস্ট।
সরাসরি রুকইয়ার জন্য যোগাযোগ করুন – Sunnah Cure Prophetic Healing & Cupping Centre Banasree, Dhaka
রুকইয়াহ কীভাবে করে?
রুকইয়াহ করা হয় কোরআন পাঠ ও আল্লাহর নিকট খাস দিলে দোয়ার মাধ্যমে। সমস্যা অনুযায়ী কুরআনের আয়াত ও হাদীসে বর্ণিত ও শরীয়াহ সম্মত দোয়া পাঠের প্রভাবে শরীরে লুকিয়ে থাকা অদৃশ্য সমস্যা প্রকাশ পায়, বিভিন্ন সিমটম দেখা যায়, সাময়িক কিছু ইফেক্ট হয়। তাৎক্ষণিক সাধারণ সমস্যাগুলো চলে গেলেও প্রভাব থাকলে তা কেটে উঠার জন্য সমস্যা বিশেষ আমল/রুকইয়াহ দেয়া হয়। যাকে সাধারণত বলা হয় সেল্ফ রুকইয়াহ।
সেলফ রুকইয়াহ কিভাবে করে?
রোগীর চিকিৎসার জন্য কিছু নির্দিষ্ট আয়াত-দোয়া, আমল, গোসল ও নববি চিকিৎসা সামগ্রীর ব্যবহার করার পরামর্শ ও নিয়ম-কানুন বলে দেয়া হয় ব্যক্তিগত জীবনে। এসব ব্যবহারের ফলে আল্লাহ তায়ালা’র রহমতে সমস্যা দূর হয় এবং তৈরি হয় অদৃশ্য শক্তি প্রতিরোধ ক্ষমতা।
এভাবেই যুগ যুগ ধরে লাখো মানুষ সুস্থ হচ্ছেন শরিয়াহসম্মত চিকিৎসা রুকইয়াহ গ্রহণের মাধ্যমে। আলহামদুলিল্লাহ।
যিনি রুকইয়াহ চিকিৎসক বা অন্যের জন্য রুকইয়াহ করেন তাকে বলা রাকি। রাকি’র কাছে রুকইয়াহ করাকে বলা হয় “সরাসরি রুকইয়াহ” , আর নিজে নিজে বা রাকি’র পরামর্শ অনুযায়ী রুকইয়াহ প্রেসক্রিপশন ফলো করাকে সেলফ রুকইয়াহ বলা হয়।
কবিরাজি চিকিৎসা কেন নেয়া যাবে না?
সমাজে প্রচলিত কবিরাজি শরিয়াহসম্মত না। তদবিরের যে পন্থা জায়েজ তার ব্যবহার শতাংশের ৫% -ও খুঁজে পাওয়া যাবে না। সুতরাং এই বাস্তবতার উপর ভিত্তি করে বলা যায়, কবিরাজ হোক মাওলানা, ইমাম বা পোশাকধারী কেউ—সে কবিরাজ-ই বা বেশ ধরা জাদুকর। শরিয়াহ মেনে না করলে কোন পদ্ধতির চিকিৎসা জায়েজ হবে না৷
এই নাজায়েজ চিকিৎসা করে সাময়িক একটা ফল পেলেও স্থায়ী ফলাফল কারো কোপালে জুটে না৷ কারণ কয়লার পানি দিয়ে ময়লা যায় না।
জাদুকরদের জাদু ও অনিষ্টকারীর ক্ষতি থেকে বাঁচার কার্যকরী পন্থা রুকইয়াহ। কারণ এখানে কোন জিন ও শয়তানের সাহায্য নেয়া হয় না। অসীম ক্ষমতাশালী রব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা’র নিকট চাওয়া হয়। যেখানে কবিরাজ থেমে যায় সেখান থেকে শুরু হয় রুকইয়াহ’র কার্যকারিতা। সুতরাং আল্লাহ তায়ালা’র সাহায্য ছেড়ে জিন ও শয়তানের পূজারী লেবাসধারী ভণ্ড কবিরাজদের নিকট যাওয়ার প্রশ্ন-ই উঠে না!
কখন রাকি’র সরণাপন্ন হওয়া জরুরী
কারো জ্বীন, দীর্ঘদিনের জাদু , একাধিক জাদু থাকলে ও জটিলভাবে জাদুগ্রস্থ হলে এবং নিজে নিজে রুকইয়াহ করা সম্ভব না হলে , রুকইয়াহ করতে প্রচন্ড কষ্ট হলে তখন রাকি’র কাছে সরাসরি রুকইয়াহ করা জরুরী। প্রাথমিকভাবে সমস্যা আছে কি না বুঝার জন্য বা কোনো এক বা একাধিক সমস্যা ও কি কি সমস্যা আছে এবং মূল সমস্যাটি কি সেগুলো বিস্তারিত ফাইন্ড আউট বা বের করে আনার জন্যও রাকি’র কাছে রুকইয়াহ ডায়াগনোসিস করা জরুরী ।
রোগী মহিলা হলে
পূর্ণ পর্দার সাথে নিজের মাহরাম পুরুষকে কিংবা সম্ভব না হলে নিকটাত্মীয় কোনো নারী কে সাথে নিয়ে এসে রুকইয়াহ করতে পারবে।
রুকইয়াহ’তে যা করা হয় না
কোন প্রকার তাবিজ-তুমার দেয়া হয় না । জ্বীন দিয়ে কাজ করানো হয়না, হাজিরা দেখা হয় না।
রুকইয়াহ’তে যা প্রয়োজন হয় না
রোগীর নাম, বাবা মায়ের নাম, ঠিকানা রোগীর ছবি, জন্ম তারিখ ইত্যাদি কোন তথ্যের প্রয়োজন হয় না । এগুলো ব্যহার করে যে চিকিৎসা করা হয় তা শিরকী ও নাজায়েয চিকিৎসা ব্যবস্থা ।
সাপ্লিমেন্টারি হিসেবে যা প্রয়োজন হতে পারে
রুকইয়াহ ও আমলের পাশাপাশি রোগীর অবস্থার উপরে নির্ভর করে ক্ষেত্র বিশেষ পবিত্র কুরআনে বা হাদীসে উপকারিতা বর্ণিত আছে এবং শরীয়াহ সমর্থিত এমন সব সাপ্লিমেন্টারি যেমন— মধু, কালোজিররা, কালোজিরার তেল, যাইতুন তেল/অলিভ অয়েল, সানা মাক্কী বা সোনা পাতা, কস্টাস , কস্তুরি আতর, বিভিন্ন পয়েন্টে চাপ প্রয়োগ বা প্রেশার ক্রিয়েট, বরই পাতা, জমজম কূপের পানি, বৃষ্টির পানি ও হিজামা ইত্যাদি ব্যবহারের প্রয়োজন হতে পারে।
রুকইয়ার বিধান
রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “রুকইয়াতে যদি শিরক না থাকে, তাহলে কোনো সমস্যা নেই।” (সহীহ মুসলিম, হাদিস নং ৫৫৪৪)
উলামায়ে কেরামগণ উপরোক্ত হাদীস টি আরো স্পষ্ট করার জন্য রুকইয়াহর পদ্ধতি বৈধ হওয়ার জন্য কয়েকটি শর্তে একমত হয়েছেন –
- রুকইয়াহতে কোনো শিরক-কুফর অথবা হারাম বাক্য থাকা যাবে না।
- যা দ্বারা রুকইয়াহ করা হবে সেটা স্পষ্ট বাক্যে হতে হবে, যার অর্থ ভালভাবে বোঝা যায়।
- দুর্বোধ্য কোনো সংকেত বা ভাষায় হওয়া যাবে না, যার অর্থ স্বাভাবিকভাবে মানুষ বুঝে না; বরং পরিপূর্ণরূপে অর্থবোধক হতে হবে।
বিশুদ্ধ আক্বিদা
উলামায়ে কিরামের মতে রুকইয়াহ করার পূর্বে এই আক্বিদা স্পষ্ট হওয়া জরুরী মে , ‘রুকইয়াহ বা ঝাড়ফুঁক ও রা’কির নিজস্ব কোনো ক্ষমতা নেই সুস্থ করার, সব ক্ষমতা আল্লাহ তা’আলার আল্লাহ তাআলাই একমাত্র ও প্রকৃত সুস্থ কারী, রাকি কেবলমাত্র উসিলা ও চিকিৎসা প্রদান কারী।
পূর্বশর্ত
রুকইয়াহ করে উপকার পেতে তিনটি জিনিসের প্রয়োজন।
১- নিয়্যাত (কেন রুকইয়াহ করছেন, সেজন্য নির্দিষ্টভাবে নিয়াত করা)
২- ইয়াক্বিন (এ ব্যাপারে ইয়াকিন রাখা যে, আল্লাহর কালামে শিফা আছে)
৩- মেহনত (অনেক কষ্ট হলেও, সুস্থ হওয়া পর্যন্ত ধৈর্য ধরে রুকইয়া চালিয়ে যাওয়া)।
লক্ষণীয়
রুকইয়ার ফায়দা ঠিকমতো পাওয়ার জন্য দৈনন্দিনের ফরজ অবশ্যই পালন করতে হবে, পাশাপাশি সুন্নাতের প্রতিও যত্নবান হতে হবে। যথাসম্ভব গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে হবে। (মেয়েদের জন্য পর্দার বিধানও ফরজ) ঘরে কোনো প্রাণীর ছবি / ভাস্কর্য রাখা যাবেনা। আর সুরক্ষার জন্য সকাল-সন্ধ্যার মাসনুন আমলগুলো অবশ্যই করতে হবে। আর ইতিমধ্যে শারীরিক ক্ষতি হয়ে গেলে, সেটা রিকোভার করার জন্য রুকইয়ার পাশাপাশি ডাক্তারের চিকিৎসাও চালিয়ে যেতে হবে।