বিষণ্ণতা জাদুর রুকইয়াহ

বিষণ্ণতা বা ডিপ্রেশন হচ্ছে মানসিক স্বাস্থ্যগত একটি রোগ, মানুষের একটি আবেগীয় দিক। বিষণ্ণতা হালকা ও স্বল্পস্থায়ী বা গুরুতর ও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। প্রতিটি মানুষই কখনো না কখনও বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হয়। শিশু-কিশোর থেকে বয়স্ক ব্যক্তিও কখনো কখনো বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হতে পারে।

মানসিক নির্যাতন, সহিংসতা, ঘনিষ্ঠ কারো মৃত্যু, ভয়, ট্রমা, স্ট্রেস অথবা পারিবারিক সহিংসতা বা পারিবারিক ভাঙ্গনের মতো কিছু সমস্যার প্রতিক্রিয়া হিসাবে বিষণ্ণতা দেখা দিতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে মানসিক চাপে থাকার পর কেউ বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হতে পারে। এটি পরিবারেও চলতে পারে।

জ্বীনের আছর, জাদু ও বদনজর-হাসাদের কারণেও বিষণ্ণতা হতে পারে। মুমিনের চিন্তা, পেরেশানি, টেনশন ভয় হতাশা ও ডিপ্রেশন শয়তানের কাছে সবচেয়ে প্রিয়। ইবনুল কাইয়্যিম রাহিমাহুল্লাহ বলেছেন- মুমিনের বিষণ্ণতা থেকে প্রিয় শয়তানের কাছে আর কিছু নেই।

আল্লাহ তাআলা বলেছেন-
إِنَّمَا النَّجْوَى مِنَ الشَّيْطَنِ لِيَحْزُنَ الَّذِينَ آمَنُوا
এরূপ কানাঘুষা তো শয়তানের কাজ, যাতে সে মুমিনদেরকে বিষন্ন করতে পারে। (সূরা মুজাদালাহ ১০)

অন্যভাবে এভাবেও অনুবাদ করা যায়- “মু’মিনদেরকে বিষণ্ণ করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে গোপন পরামর্শ বা চক্রান্ত করা হয়ে থাকে।”

বিষণ্ণতা আকল ও মনকে দুর্বল করে, চেহারাকে বিকৃত করে, ইচ্ছা শক্তিকে দমন করে। সংকল্প ও আত্মবিশ্বাস কে নড়বড়ে করে এবং শরীরকে ধ্বংস করে দেয়, আল্লাহর পথ থেকে বিচ্ছিন্ন করে এবং ইবাদতে বাধাগ্রস্ত করে। আর আদম সন্তানের কাছে এটিই শয়তানের অন্যতম লক্ষ্য এবং আকাঙ্ক্ষা।

মুসলিমকে অবশ্যই এটিকে নিজের থেকে এবং তার চারপাশের লোকদের থেকে সরিয়ে দিতে হবে এবং এর কারণগুলি থেকে দূরে থাকতে হবে আর যতটা সম্ভব দুঃশ্চিন্তা করা যাবেনা। মুমিন কখনোই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ও বিষণ্ণ হতে পারে না, বরং সর্বাবস্থায় আল্লাহর ফায়সালায় সন্তুষ্ট থাকে এবং তার ওপর পূর্ণ ভরসা রাখে।

কুরআনে যেখানেই বিষণ্নতার আলোচনা করা হয়েছে সেখানেই তা থেকে বিরত থাকার কথা বলা হয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন। যেমন- তিনি দুআ করতেন—

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ

“হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট (ভবিষ্যতের) দুশ্চিন্তা, উদ্বিগ্নতা এবং (অতীতের) দুঃখ-বেদনা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করি।”

সুতরাং আশাকরি বুঝতেই পারছেন, বিষণ্নতা মেডিকেল সংক্রান্ত কারণেও যেমন হতে পারে তেমনি জ্বীন জাদু ও বদনজর-হাসাদের কারণেও বিষণ্নতা হতে পারে। তাই এসমস্যা হলে তার সঠিক কারণ নির্ণয় এবং সঠিক চিকিৎসা করতে হবে। মানসিক সমস্যা হলেও বৈধ সকল উপায়ে এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে এবং মেডিক্যাল চিকিৎসার পাশাপাশি রুকইয়াহ করতে হবে। তাহলে খুব বেশি উপকৃত হবে এবং দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে।

কারণ কুরআন মানুষের শুধুমাত্র জান্নাত, জাহান্নাম, গোনাহ ও হেদায়েতের ক্ষেত্রেই পথনির্দেশক নয় বরং রোগব্যাধির জন্যও পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন। কুরআন-ই একমাত্র গ্রন্থ যা বিষণ্নতা-দুশ্চিন্তা দূর করে অন্তরে প্রশান্তি আনতে পারে। আল্লাহ তাআলা বলেন,

الَّذِينَ آمَنُوا وَتَطْمَئِنُّ قُلُوبُهُم بِذِكْرِ اللَّهِ ۗ أَلَا بِذِكْرِ اللَّهِ تَطْمَئِنُّ الْقُلُوبُ
এরা সেই সব লোক, যারা ঈমান এনেছে এবং আল্লাহর যিকির দ্বারা যাদের অন্তর প্রশান্ত হয়। স্বরন রেখো, কেবল আল্লাহর যিকির দ্বারাই অন্তর প্রশান্তি লাভ করে। (সূরা রা’আদ ২৮)

আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَمَنْ أَعْرَضَ عَن ذِكْرِي فَإِنَّ لَهُ مَعِيشَةً ضَنكًا وَنَحْشُرُهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَعْمَىٰ
যে আমার যিকির থেকে মূখ ফিরিয়ে নিবে, তার জীবন-যাপন হবে সংকীর্ণ আর আমি তাকে কিয়ামতে অন্ধ অবস্থায় উত্থিত করবো। (সূরা ত্বা-হা ১২৪)

কুরআনে সূরা বনী ইসরাইলে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন-

আমি এমন কোরআন নাযিল করেছি যা মুমিনের জন্য সুচিকিৎসা এবং রহমতস্বরূপ। (সূরা বনী ইসরাইল ৮২)

বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হলে যদি দেখেন, বিষণ্নতার সাইকোলজিক্যাল কোনো কারণ তার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে না এবং জ্বীন জাদু ও বদনজর আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ গুলো কিছু মিলে যায় কিংবা মেডিক্যাল চিকিৎসা করেও উন্নতি বা ভালো হচ্ছে না বা সাময়িক একটু ভালো লাগলেও পরে আবার আগের মতোই বা তার চেয়েও বেশি সমস্যা দেখা দেয়, তখন ধারনা করা যায় যে এটা জ্বীন জাদু ও বদনজরের কারণে হয়েছে।

নিশ্চিত হওয়ার জন্য রুকইয়াহ টেস্ট করে দেখতে হবে যে আদৌ কি তার জ্বীন জাদু ও বদনজরের সমস্যা আছে কিনা বা এটা এসব কারণেই হয়েছে কিনা।

বিষণ্ণতার জাদু আক্রান্ত হলে যেসব সিমটম প্রকাশ হতে পারে—

>ক্লান্তি বোধ ও দূর্বল লাগা; এমনকি পর্যাপ্ত বিশ্রাম করলেও।

কাজে আনন্দ ও আগ্রহ কমে যাওয়া।
অস্থিরতা ও মনযোগ দিতে না পারা।
ঠিকঠাক ঘুম না হওয়া বা অতিরিক্ত ঘুমের সমস্যা।
অস্বাভাবিক ওজন কমে যাওয়া।
কাজে ও চিন্তায় ধীরগতি হয়ে যাওয়া।
মাথা ব্যথা ও মাথায় গরম অনুভব করা।
বিক্ষিপ্ত চিন্তা, উদ্বেগ ও বিরক্তি ভাব।
একাকী থাকতে পছন্দ করা, সঙ্গ এড়িয়ে চলা।
চুপচাপ থাকা, কারও সাথে কথা বলতে ইচ্ছে না করা।
সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা।
নিজেকে গুরুত্বহীন মনে করা।
মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া, হুটহাট রেগে যাওয়া।
আত্মহত্যা করতে ইচ্ছে হওয়া।
ভয়ংকর স্বপ্ন দেখা।

এই সবগুলো লক্ষণই যে থাকবে এমন নয় এবং এছাড়াও জ্বীন, জাদু, বদনজর ও হাসাদের বিভিন্ন লক্ষণও থাকতে পারে।

সেলফ রুকইয়াহ প্রেসক্রিপশন

ধাপ-১:
সমস্ত পাপ থেকে আপনার শরীর এবং ঘরকে শুদ্ধ ও পরিষ্কার করুন। হারাম জিনিস যেমন – কুকুর, ঘণ্টা, বাদ্যযন্ত্র, মানুষ এবং প্রাণীদের ছবি/পেইন্টিং/পুতুলগুলি পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। রুগীর সাথে ও ঘরে কোনও তাবিজ থাকলে খুলে ফেলতে হবে। তাবিজ আল্লাহর ওপর তাওয়াককুলের প্রতিবন্ধক। তারপর দুই রাকাত সালাতুত তাওবা আদায় করুন এবং সমস্ত পাপ থেকে আল্লাহর আন্তরিকভাবে অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। ভবিষ্যতেও সমস্ত পাপ থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করতে হবে এবং কখনও ভুলে গেলে সাথে সাথে তাওবা করতে হবে।

ধাপ-২: নিম্নোক্ত পদ্ধতিতে অন্তত ২১ থেকে ৪০ দিন ধরে নিয়মিতভাবে প্রতিদিন করবেন…
ক)
১। সিহর বা জাদু নষ্টের আয়াত গুলো প্রতিদিন একবার বা দুইবার তিলাওয়াত করবেন। পাঠ করা সম্ভব না হলে অডিও শুনবেন।
২। বেশি করে পানি নিবেন তারপর সিহরের আয়াত গুলো পড়ে পানি ফুঁ দিবেন। এরপর এখান থেকে প্রতিদিন যখনই প্রয়োজন হবে পান করবেন। সম্ভব না শুধু সিহরের কমন আয়াত গুলো পড়বেন।
৩। উক্ত পড়া পানি থেকে এক গ্লাস পানি নিয়ে গোসলের পানিতে মিশিয়ে গোসল করবেন। মাঝেমধ্যে একাধিক ৩ বা ৭ দিন বরই পাতার গোসল করবেন।

খ)
এই আমলগুলোও নিয়মিতভাবে প্রতিদিন সকালে একবার এবং প্রতি সন্ধ্যায় একবার করতে হবে…
১। যেকোন দরূদ -১১ বার। সহজ একটি হচ্ছে- আল্লাহুম্মা সাল্লিআলা মুহাম্মদ।

২। যেকোনো ইস্তিকফার -৩ বার। সহজ একটি হচ্ছে- ‘আস্তাগফিরুল্লাহি ওয়া ‘আতুবু’ ইলাইহ।

৩। আউযুবিল্লাহি মি-নাশ শাইতানির-রাজিম, বিসমিল্লাহির-রাহ্-মানির-রা-হিম (১বার)

৪। সূরা ফাতিহা ১ বার , সূরা ইকলাস ৩ বার।

৫। দুআ ইউনুস (আ.) তথা সূরা আম্বিয়া ৮৭ নং আয়াত – লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনা আলথালিমীনা – ১০০ বার

দ্রষ্টব্য: দুআ ইউনুস হল – সেরা যিকর ‘লা ইলাহা ইল্লাহা’, সেরা ইস্তিগফার এবং সেরা দুয়ার সমন্বয়। এবং কিছু আলেম এও উল্লেখ করেছেন যে এতে আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ নাম অর্থাৎ ইসমে আজম রয়েছে।

৬। উক্ত যিকির ও দুআ ৩-৫ বার
يَا حَيٌّ يَا قَيُّومُ يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْاكْرَامِ يَا ارْحَمَ الرَّاحِمِينَ.

اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ اَعُوْذُبِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحُزْنِ وَ اَعُوْذُبِكَ مِنَ الْعَجْزِ وَ الْكَسَلِ وَ اَعُوْذُبِكَ مِنَ الْجُبْنِ وَ الْبُخْلِ وَ اَعُوْذُبِكَ مِنْ غَلَبَةِ الدَّيْنِ وَ قَهْرِ الرِّجَالِ
(ইয়া হাইয়ু, ইয়া কাইয়ুম, ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম ইয়া আরহামার রাহিমীন।

আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হুযনি ওয়া আউযুবিকা মিনাল আজযি ওয়াল কাসালি ওয়া আউযুবিকা মিনাল জুবনি ওয়াল বুখলি ওয়া আউযুবিকা মিন গালাবাতিত দাইনি ওয়া কাহরির রিজালি।)

হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই চিন্তা পেরেশানি থেকে এবং আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই অপারগতা ও অলসতা থেকে এবং আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই কাপুরুষতার ও কৃপণতা থেকে এবং আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই ঋণের বোঝা ও মানুষের ক্ষোভ থেকে।

৭। উক্ত যিকির ৪০ বার
اَللَّهُ اَللَّهُ رَبِّي لَا أُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا
আল্লা-হু, আল্লা-হু রাব্বী, লা- উশরিকু বিহী শাইআন।

৮। এই যিকির ৩ বার
لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، الْعَظِيْمُ الْحَلِيْمُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، رَبُّ السَّمَاوَاتِ، وَرَبُّ الْأَرْضِ، وَرَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيْمِ

লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হুল আযীমুল হালীম, লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু রাব্বুল আরশিল আযীম, লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু রাব্বুস সামা-ওয়া-তি ওয়া রাব্বুল আরদ্বি ওয়া রাব্বুল আরশিল কারীম।

৯। উক্ত যিকির ১১ বার
سُبْحَانَ اللهِ الْعَظِيمِ
সুবহানাল্লাহিল আযীম।

১০। উক্ত দুআটি ১১ বার-
يَا حَيُّ يَا قَيُّوْمُ، بِرَحْمَتِكَ أَسْتَغِيْثُ

ইয়া- হাইউ ইয়া ক্বাইউমু, বিরা’হমাতিকা আসতাগীছ

হে চিরঞ্জীব সত্তা, হে সকল সৃষ্টির ধারক, আপনার রহমতের দোহাই দিয়ে সাহায্য চাইছি।

১১। যেকোন দরূদ -১১ বার। সহজ একটি হচ্ছে- আল্লাহুম্মা সাল্লিআলা মুহাম্মদ।

১২। এরপর আপনার হাতে থুতু মিশ্রিত ৩ বার ফুঁ দিন এবং আপনার মুখে এবং আপনার সমস্ত শরীরে দুই হাত মুছে দিন।

মনে রাখবেন একটি মুতাওয়াতির হাদিস থেকে আমরা জানতে পেরেছি যে আল্লাহর সবচেয়ে পছন্দের কাজগুলি হল সেই কাজগুলি যা ছোট হলেও ধারাবাহিকভাবে করা হয়। তাই অনুগ্রহ করে ধারাবাহিকতা ভঙ্গ করবেন না। প্রতিদিন সকালে এবং সন্ধ্যায় একবার এই আমলটি করবেন। ইনশাআল্লাহ কিছু দিনের মধ্যেই আশ্চর্যজনক ফলাফল দেখতে পাবেন। আর অবসর সময়গুলোতে যথাসম্ভব ইস্তিগফার পাঠ করার চেষ্টা করবেন।

সতর্কতাঃ
এই রুকইয়াহ শুরু করার পূর্বে ৭ দিন বদনজর ও হাসাদের রুকইয়াহ করে নিলে বেশি উপকার পাবেন ইনশাআল্লাহ।

আর সকাল-সন্ধ্যার হেফাজতের মাসনুন আমল গুলো অবশ্যই স্থায়ীভাবে নিয়মিত চালিয়ে যাবেন। যেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কোনদিন ছুটে না যায়।

উপরোক্ত নিয়মে ২১ থেকে ৪০ দিন রুকইয়াহ করার পরও যদি সমস্যা থাকে, পুরোপুরি ভালো না হয়, কিংবা যদি জ্বীনের সমস্যাও থাকে বুঝতে পারেন তাহলে অভিজ্ঞ রাক্বীর শরণাপন্ন হয়ে সরাসরি রুকইয়াহ করুন। তবে প্রথমে সরাসরি রুকইয়াহ করে নিলে সহজে সুস্থ হওয়া যাবে এবং সমস্যা জটিল হলে বা জ্বীনের সমস্যা থাকলে তাও বুঝতে পারবেন। আল্লাহ তাআলা সবাইকে পরিপূর্ণ সুস্থতা দান করুন এবং তার রহমের চাদরে ঢেকে নিন, আমীন।

শেয়ার করুন -

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top