চেহারা ও শরীরের সৌন্দর্য বিকৃত ও নষ্টের জন্য যে জাদু করা হয় তাকেই সৌন্দর্য নষ্টের জাদু বলে। এই জাদুর কারণে চেহারার সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়, মুখে ব্রণ ওঠে, কালো দাগ হয়ে যায় এবং চেহারার লাবণ্যতা হারিয়ে যায়। অনেকেই বিশেষ করে বোনরা সৌন্দর্য ও ব্রণ নিয়ে খুবই চিন্তিত থাকেন। অনেক চিকিৎসা করেও অনেক সময় ভালো হয় না। কিন্তু সৌন্দর্য বিকৃতির পিছনে লুকানো আসল কারণ কি জানেন না। তাই তারা ডার্মাটোলজিস্ট বা চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যান, অনেক চিকিৎসা করে এবং প্রসাধনী ব্যবহার করে অত্যধিক টাকা খরচ করে ফেলেন, কিন্তু কোন লাভ হয় না এবং কোনো পরিবর্তন হয় না। কারণ সমস্যার মূল থেকে চিকিত্সা করা হয়নি এবং এর প্রকৃত কারণ দূর করা হয়ন
সৌন্দর্য নষ্টের কারণ:
১– বদনজর ও হাসাদ: সৌন্দর্য নষ্টের ক্ষেত্রে বদনজর ও হাসাদের অনেক প্রভাব রয়েছে। নজর-হাসাদের কারণে সৌন্দর্য বিকৃত হতে এবং মুখে ব্রণ ওঠে পারে।
২– জ্বীনের আছর: জ্বীন যখন আক্রান্ত ব্যক্তিকে সবার থেকে বিচ্ছিন্ন করতে চায়, বিবাহ এবং যেকোনো বিষয়ে বিঘ্ন ঘটাতে চায় তখন তার জন্য সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হলো সবার চোখে তাকে অসুন্দর লাগা এবং অগ্রহণযোগ্য মনে হওয়া। তাই জ্বীন ও জাদুর খাদেম রোগীর সৌন্দর্য নষ্ট করে ফেলে।
৩– আশিক জ্বীন: আশিক জ্বীন ভিকটিমকে কেবল নিজের করে একা পেতে চায়, এজন্য সবকিছুতেই বাধা দেয় এবং সবার থেকে আলাদা রাখে। তাই বিয়েতে বাধা দেয়ার জন্য এবং পেশেন্ট একা থাকার জন্য সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়। কেউ রোগীকে প্রশংসা করলেও তার হিংসা হয়। ফলে সে রোগীর সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়।
৪– সৌন্দর্য নষ্টের জাদু: কোনো যখন হিংসুক বা শত্রু বিশেষভাবে সৌন্দর্য নষ্টের জাদু করে। বিশেষ করে বিবাহ বন্ধ ও স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিচ্ছেদের জাদুর ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট করে সৌন্দর্য নষ্টের জাদুও করে থাকে।
৫– ফটো/ছবি দিয়ে করা জাদু: যখন কাউকে তার ফটো বা ছবি দিয়ে জাদু করে, ছবির চেহারায় সুঁই, পিন, পেরেক ও তালা ইত্যাদি দিয়ে জাদু করে তখন ভিকটিমের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি আপলোড করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
৬– পেটের জাদু: খাওয়ানো ও পান করানোর জাদু তথা পেটে থাকা জাদুর কারণে সৌন্দর্য নষ্ট হয়। কারণ পেটকে বলা হয় রোগের বাসা। পেট থেকে বুক, মুখ ও মাথা দিয়ে এর প্রভাব প্রকাশ হয় এবং এর প্রভাব ত্বকের উপর দিয়েও প্রকাশ পায়।
৭– শারীরিক মানসিক কোনো রোগ: শারীরিক ও মানসিক কোনো সমস্যা যেমন অত্যধিক মানসিক, দায়িত্ব এবং অনেক দুশ্চিন্তার কারণেও সৌন্দর্য বিকৃত হতে পারে।
৮– নিদ্রাহীনতা, পানি কম পান করা: কম ঘুমানো, রাতে দেরী করে ঘুমানো এবং পানি কম পান করা ও পর্যাপ্ত পানি না পান করার কারণেও সৌন্দর্য নষ্ট ও মুখে ব্রণ ওঠতে পারে।
৯– গোনাহ: পাপকাজ করার ফলেও মুমিনের চেহারা সৌন্দর্য, উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যায়। পাপকাজ চেহারার নূরকে নষ্ট করে ফেলে। আর নেকআমল চেহারার নূর বৃদ্ধি করে।
সমাধানের জন্য প্রকৃত কারণ খোঁজে বের করে চিকিৎসা করতে হবে। শারীরিক মানসিক বা মেডিকেল সংক্রান্ত সমস্যা হলে মেডিক্যাল চিকিৎসা নিতে হবে। আর বদনজর , জ্বীন ও জাদু সংক্রান্ত সমস্যা হলে সেই সমস্যার জন্য রুকইয়াহ করতে হবে। জ্বীন-জাদু ও নজরের কারণে হলে যতই মেডিকেল চিকিৎসা গ্রহণ করা হোক না কেন, যতই প্রসাধনী ব্যবহার করা হোক না কেন ভালো হবে না। সাময়িক একটু ভালো ও উন্নতি হলেও কিছুদিন পরে আবার দেখা দিবে।
সৌন্দর্য বিকৃত করার জাদুর গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণসমূহ-
১। মুখে অতিরিক্ত ব্রণ ওঠা, যা চিকিৎসা করেও ভালো হয়না।
২। মুখে কালো কালো দাগ হয়ে যাওয়া
৩। চেহারা ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া
৪। মুখের উজ্জ্বলতা, লাবণ্যতা চলে যাওয়া
৫। চেহারা কালো, হলুদ বাদামী রঙের হয়ে যাওয়া
৬। চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ে যাওয়া
৭। কখনও কখনও চেহারা বৃদ্ধ মানুষের মত লাগা।
৮। চোখে লালভব, দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া।
৯। হঠাৎ হঠাৎ চেহারার রং পরিবর্তন হয়ে যাওয়া, কখনও সুন্দর লাগা, কখন অসুন্দর লাগা।
১০। অকাল দাঁত পড়ে যাওয়া, দাঁতে প্রচন্ড ব্যথা।
১১। অতিরিক্ত চুলপড়া, যা শ্যাম্পু ও চিকিৎসাতেও ভালো হয়না।
১২। ঘুমের ব্যাঘাত, অনিদ্রা, ভীতিকর স্বপ্ন দেখা।
১৩। অলসতা, অতিরিক্ত ঘুম, পর্যাপ্ত ঘুমের পরও ঘুমঘুম লাগা।
১৪। বুক, পিঠ ও শরীরে গোটা ওঠা
১৫। পিঠ বাকা হয়ে যাওয়া ও পিঠে অতিরিক্ত ব্যথা।
১৬। চোখ, নাক, ঠোট ও বিভিন্ন অঙ্গের আকৃতি ও রং পরিবর্তন হয়ে যাওয়া
১৭। খাবারে অরুচি, ক্ষুধামন্দা, পেটে প্রচুর গ্যাস হওয়া।
১৮। হঠাৎ অতিরিক্ত ওজন কমে যাওয়া, দিনদিন স্বাস্থ্যহানি হওয়া।
বদনজর হাসাদ ও জ্বীনের আছরের কারণেও উপরোক্ত লক্ষণগুলোই দেখা যায়। তবে বদনজর ও জাদুর মধ্যে পার্থক্য হলো- জাদুর কারণে হলে অনেক বেশি সৌন্দর্য নষ্ট হয়, মুখে প্রচুর পরিমাণে ব্রণ, পিম্পল বের হয়, কালো দাগ ও কালো ছোপ পড়ে যায়। অনেক বেশি লক্ষণ দেখা যায়। বদনজর হাসাদের কারণে হলে চেহারা গাঢ় বাদামী হয়ে যায়, এক সময় সুন্দর দেখায় তো একপর বা অন্য সময় অসুন্দর হয়ে যায়। ব্রণ তুলনামূলক কম হয়। নজর-হাসাদের খাদেম জ্বীন মুখমণ্ডলে ফুঁ দেয় এবং মন্ত্রমুগ্ধ করে। সৌন্দর্য নষ্টের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বিপদজনক প্রকারের জ্বীন হচ্ছে কালো সাপ জ্বীন; যখন ভিকটিমের চেহারার দিকে তাকায় তখন সম্পূর্ণরূপে কালো ও বিকৃত করে দেয়। এতে চেহারায় কোনো উজ্জ্বলতা ও লাবণ্যতা থাকে না।
সৌন্দর্যের রুকইয়াহ পরামর্শ:
সংক্ষিপ্ত পরামর্শ:
১. মূল কারণ খোঁজে বের করে চিকিৎসা করা
২. কোলন পরিস্কার করা।
৩. ব্রেন ও মাথার রুকইয়াহ করা
৪. পুষ্টিকর খাবার খাওয়া
৫. ঠিকমতো পর্যাপ্ত ঘুমানো
৬. রাতে দেরী করে না ঘুমানো
৭. পর্যায় পানি পান করা
৮. তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করা।
প্রাথমিক ও কার্যকরী রুকইয়াহ পরামর্শ:
রুকইয়াহ ও হিজামাতে এর উত্তম ও কার্যকরী চিকিৎসা রয়েছে। যাদের প্যারানরমাল সমস্যার কারণে হয়নি তারা মেডিকেল চিকিৎসার পাশাপাশি অবশ্যই হিজামা করবেন কমপক্ষে তিন সেশন। সাথে রুকইয়াহ আরেকটু বেশি উপকার পাবেন ইনশাআল্লাহ। যাদের প্যারানরমাল সমস্যার কারণে হয়েছে তারা নিম্নোক্ত নিয়মে রুকইয়াহ করবেন। সাথে অবশ্যই কয়েক সেশন হিজামা করবেন।
১। পেটের জাদু নষ্টের জন্য বরই পাতার পেস্ট, পানি ইত্যাদি খেয়ে বমির মাধ্যমে ইস্তিফরাগ করবেন ৩ দিন বা ৫-৭ দিন। এটি সুস্থ হওয়া পর্যন্ত এভাবে মাসে দুবার করবেন। এরপর দুই তিন দিন গ্যাপ দিয়ে সোনাপাতা খাওয়ার মাধ্যমে লুজ মোশন করবেন। এটি মাসে দুই দিন করবেন।
২। সৌন্দর্য নষ্টের চিকিৎসায় কিছু উপকারী রেসিপি।
✅ ১/ এক চা-চামচ খাঁটি মধু ২/ বরই পাতা ৩/ অ্যালোভেরা।
পুরো চেহারায় লাগানোর জন্য পরিমাণমতো বরই পাতা বাটা এবং অ্যালোভেরার জেলি এবং এক চা-চামচ এর মতো মধু নিবেন। এগুলো একসাথে মিশিয়ে পেস্ট বানাবেন। এরপর তা চেহারায় লাগিয়ে এক দেড় ঘন্টা বা দুই ঘন্টা রেখে দিবেন। এরপর পড়া পানি দিয়ে ভালো করে চেহারা ধুয়ে নিবেন।
•
এভাবে এক সপ্তাহ এই নিয়ম ফলো করলে- আইন-হাসাদ, সেহের, উক্বাদ ও জ্বিনের স্পর্শের কারণে নষ্ট হওয়া চেহারার সৌন্দর্য ফিরে আসবে ইনশাআল্লাহ।
✅ ২/ টেবিল চামচ চন্দনগুঁড়া কিছুটা রুকইয়াহ করা অলিভ অয়েল কিংবা প্রাকৃতিক গোলাপজলের সঙ্গে মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ বা খামিরার মত তৈরি করে নিবেন। এরপর মুখের ত্বকে লাগিয়ে আধঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে একবার বা দুবার মিশ্রণটি ব্যবহার করবেন। এর বেশি ব্যবহার করা করবেন না।
✅ ৩/ রুকইয়াহ করা এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল পুরো মুখে ব্যবহার করুন এবং মুখের অভিব্যক্তির রেখাগুলি (হাসির রেখা, কপাল, চোখের উভয় পাশে এবং উভয় চোখের নিচে) আলতো করে ম্যাসাজ করুন।
তেল লাগানোর এক দেড় ঘন্টা বা দুই ঘন্টা পরে, মুখটি রুকইয়াহ করা গোলাপ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, তারপর একটি পরিষ্কার তোয়ালে/কাপড়/তুলা দিয়ে মুখ মুছে ফেলুন, তারপর খাঁটি মধু পুরো মুখে মেখে নিন এবং যতক্ষণ না ত্বক এটি শুষে নেয় ততক্ষণ এটি ম্যাসাজ করুন। এরপর নরমাল রুকইয়াহ করা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
এটি এক সপ্তাহ পর্যন্ত প্রতিদিন বা সপ্তাহে তিন চার দিন করতে পারেন। খুব ভালো উপকার পাবেন ইনশাআল্লাহ।
✅ ৪/ অধিক পরিমাণে পড়া পানি পান করবেন। দৈনিক কয়েকবার পড়া পানি দিয়ে চেহারা দৌত করবেন এবং পড়া পানি দিয়ে অযু করবেন।
✅বিঃদ্রঃ
উক্ত আলোচনায় উল্লেখিত উপকরণ গুলোর মধ্যে যেগুলো দীর্ঘদিন রাখা যাবে সেগুলো রুকইয়ার আয়াত দিয়ে আগেই পড়ে ফুঁ দিয়ে রাখতে পারেন। আর যে গুলো রাখা যাবেনা বা প্রতিদিন নতুন করে তৈরি করতে হবে সেগুলো রুকইয়াহ করা ছাড়াও ব্যবহার করতেন পারবেন। আর যদি ব্যবহারের পূর্বে উপকরণ গুলো প্রস্তুত করার সময় আয়াত ও দোয়া পড়ে রুকইয়াহ করে নেন তাহলে ভালো হবে ইনশাআল্লাহ।
৩। বদনজরের রুকইয়াহ আয়াত, জাদু নষ্টের রুকইয়াহ আয়াত এবং সৌন্দর্য সংক্রান্ত আয়াত তিলাওয়াত করবেন। আশিক জ্বীনের সমস্যা থাকলে যিনা ফাহিশা সংক্রান্ত আয়াত গুলো তিলাওয়াত করবেন।
৪। যাদের পক্ষে তিলাওয়াত করা সম্ভব নয় বা নারীরা নামাজ বন্ধের সময়ে বদনজরের রুকইয়াহ, জাদু নষ্টের রুকইয়াহ ও সৌন্দর্য বিকৃত করার জাদু, বদনজর ও হাসাদের রুকইয়াহ অডিও শুনবেন।
পাশাপাশি নিচের আয়াত গুলো প্রতিদিন তিলাওয়াত করবেন। তিলাওয়াত করার উপরোল্লেখিত উপকরণ গুলোতে ফুঁ দিবেন এবং হাতে ফুঁ দিয়ে চেহারা মুছে দিবেন।
জ্বীন, জাদু, নজর-হাসাদ ও সৌন্দর্য সংক্রান্ত সংক্ষিপ্ত আয়াত:
সূরা ফাতিহা
أعوذ بالله السميع العليم من الشيطان الرجيم …. بسم الله الرحمن الرحيم.
الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ (١) الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ (٢) مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ (٣) إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ (٤) اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ (٥) صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ (٦) غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ (٧)
আয়াতুল কুরসি
اللَّهُ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ ۚ لَا تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ ۚ لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ ۗ مَن ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِندَهُ إِلَّا بِإِذْنِهِ ۚ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ ۖ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلَّا بِمَا شَاءَ ۚ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ ۖ وَلَا يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا ۚ وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ (255)
সূরা বাকারাহ শেষ দুই আয়াত
آمَنَ الرَّسُولُ بِمَا أُنزِلَ إِلَيْهِ مِن رَّبِّهِ وَالْمُؤْمِنُونَ ۚ كُلٌّ آمَنَ بِاللَّهِ وَمَلَائِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّن رُّسُلِهِ ۚ وَقَالُوا سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا ۖ غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ (285) لَا يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا ۚ لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ ۗ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِن نَّسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِ ۖ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا ۚ أَنتَ مَوْلَانَا فَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ (286)
———————————————————-
সূরা বাকারাহ- ১০৯
وَدَّ كَثِيرٌ مِّنْ أَهْلِ الْكِتَابِ لَوْ يَرُدُّونَكُم مِّن بَعْدِ إِيمَانِكُمْ كُفَّارًا حَسَدًا مِّنْ عِندِ أَنفُسِهِم مِّن بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُمُ الْحَقُّ ۖ فَاعْفُوا وَاصْفَحُوا حَتَّىٰ يَأْتِيَ اللَّهُ بِأَمْرِهِ ۗ إِنَّ اللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ (109)
সূরা কাহাফ- ৩৯
وَلَوْلَا إِذْ دَخَلْتَ جَنَّتَكَ قُلْتَ مَا شَاءَ اللَّهُ لَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ ۚ إِن تَرَنِ أَنَا أَقَلَّ مِنكَ مَالًا وَوَلَدًا (39)
সূরা নিসা – ৫৪
أَمْ يَحْسُدُونَ النَّاسَ عَلَىٰ مَا آتَاهُمُ اللَّهُ مِن فَضْلِهِ ۖ فَقَدْ آتَيْنَا آلَ إِبْرَاهِيمَ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَآتَيْنَاهُم مُّلْكًا عَظِيمًا (54)
সূরা ফালাক
قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ (1) مِن شَرِّ مَا خَلَقَ (2) وَمِن شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ (3) وَمِن شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ (4) وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ (5)
——————————————
সূরা আরাফ- ১১৭–১২২
وَأَوْحَيْنا إِلى مُوسى أَنْ أَلْقِ عَصاكَ فَإِذا هِيَ تَلْقَفُ ما يَأْفِكُونَ (117) فَوَقَعَ الْحَقُّ وَبَطَلَ ما كانُوا يَعْمَلُونَ (118) فَغُلِبُوا هُنالِكَ وَانْقَلَبُوا صاغِرِينَ (119) وَأُلْقِيَ السَّحَرَةُ ساجِدِينَ (120) قالُوا آمَنَّا بِرَبِّ الْعالَمِينَ (121) رَبِّ مُوسى وَهارُونَ (122)
সূরা ইউনুস- ৮১
فَلَمَّا أَلْقَوْا قَالَ مُوسَىٰ مَا جِئْتُم بِهِ السِّحْرُ ۖ إِنَّ اللَّهَ سَيُبْطِلُهُ ۖ إِنَّ اللَّهَ لَا يُصْلِحُ عَمَلَ الْمُفْسِدِينَ (81)
সূরা ফুরকান- ২৩
وَقَدِمْنَا إِلَىٰ مَا عَمِلُوا مِنْ عَمَلٍ فَجَعَلْنَاهُ هَبَاءً مَّنثُورًا (23)
সূরা বাকারাহ – ১০২
وَاتَّبَعُوا مَا تَتْلُو الشَّيَاطِينُ عَلَىٰ مُلْكِ سُلَيْمَانَ ۖ وَمَا كَفَرَ سُلَيْمَانُ وَلَٰكِنَّ الشَّيَاطِينَ كَفَرُوا يُعَلِّمُونَ النَّاسَ السِّحْرَ وَمَا أُنزِلَ عَلَى الْمَلَكَيْنِ بِبَابِلَ هَارُوتَ وَمَارُوتَ ۚ وَمَا يُعَلِّمَانِ مِنْ أَحَدٍ حَتَّىٰ يَقُولَا إِنَّمَا نَحْنُ فِتْنَةٌ فَلَا تَكْفُرْ ۖ فَيَتَعَلَّمُونَ مِنْهُمَا مَا يُفَرِّقُونَ بِهِ بَيْنَ الْمَرْءِ وَزَوْجِهِ ۚ وَمَا هُم بِضَارِّينَ بِهِ مِنْ أَحَدٍ إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِ ۚ وَيَتَعَلَّمُونَ مَا يَضُرُّهُمْ وَلَا يَنفَعُهُمْ ۚ وَلَقَدْ عَلِمُوا لَمَنِ اشْتَرَاهُ مَا لَهُ فِي الْآخِرَةِ مِنْ خَلَاقٍ ۚ وَلَبِئْسَ مَا شَرَوْا بِهِ أَنفُسَهُمْ ۚ لَوْ كَانُوا يَعْلَمُونَ (102)
———————————————————-
সূরা আনফাল- ১১
وَيُذْهِبَ عَنكُمْ رِجْزَ الشَّيْطَانِ
সূরা ত্বা-হা- ২১
خذها ولا تخف سَنُعِيدُهَا سِيرَتَهَا الْأُولَى
সূরা হিজর- ১৬
وَزَيَّنَّاهَا لِلنَّاظِرِينَ
সূরা ইউনুস- ৫
هُوَ الَّذِي جَعَلَ الشَّمْسَ ضِيَاءً وَالْقَمَرَ نُورًا
সূরা আন্আম- ১২২
أَوَ مَن كَانَ مَيْتاً فَأَحْيَيْنَاهُ وَجَعَلْنَا لَهُ نُوراً يَمْشِي بِهِ فِي النَّاسِ
সূরা মুতাফ্ফিফীন- ২৪
تَعْرِفُ فِي وُجُوهِهِمْ نَضْرَةَ النَّعِيمِ ﴿٢٤﴾
সূরা আল ইমরান- ৩৭
فَتَقَبَّلَهَا رَبُّهَا بِقَبُولٍ حَسَنٍ وَأَنْبَتَهَا نَبَاتًا حَسَنًا
সূরা মু’মিন- ৬৪
وَصَوَّرَكُمْ فَأَحْسَنَ صُوَرَكُمْ وَرَزَقَكُمْ مِنَ الطَّيِّبَاتِ
সূরা নূর- ৩৫
اللَّهُ نُورُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ۚ مَثَلُ نُورِهِ كَمِشْكَاةٍ فِيهَا مِصْبَاحٌ ۖ الْمِصْبَاحُ فِي زُجَاجَةٍ ۖ الزُّجَاجَةُ كَأَنَّهَا كَوْكَبٌ دُرِّيٌّ يُوقَدُ مِن شَجَرَةٍ مُّبَارَكَةٍ زَيْتُونَةٍ لَّا شَرْقِيَّةٍ وَلَا غَرْبِيَّةٍ يَكَادُ زَيْتُهَا يُضِيءُ وَلَوْ لَمْ تَمْسَسْهُ نَارٌ ۚ نُّورٌ عَلَىٰ نُورٍ ۗ يَهْدِي اللَّهُ لِنُورِهِ مَن يَشَاءُ ۚ وَيَضْرِبُ اللَّهُ الْأَمْثَالَ لِلنَّاسِ ۗ وَاللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ (35)
——————————————————
সূরা আল-ইমরান- ১০৬
يَوْمَ تَبْيَضُّ وُجُوهٌ وَتَسْوَدُّ وُجُوهٌ
সূরা ক্বিয়ামাহ- ২৩
وُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ نَّاضِرَةٌ
সূরা আবাসা- ৩৮
وُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ مُسْفِرَةٌ * ضَاحِكَةٌ مُسْتَبْشِرَةٌ
সূরা গাশিয়াহ- ৮
وُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ نَّاعِمَةٌ
সূরা বাকারাহ- ১১২
بَلَىٰ مَنْ أَسْلَمَ وَجْهَهُ لِلَّهِ وَهُوَ مُحْسِنٌ فَلَهُ أَجْرُهُ عِندَ رَبِّهِ وَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ
সূরা আল ইমরান- ১১০
وَأَمَّا الَّذِينَ ابْيَضَّتْ وُجُوهُهُمْ فَفِي رَحْمَةِ اللَّهِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ
সূরা মায়িদাহ- ৬
فَتَيَمَّمُوا صَعِيدًا طَيِّبًا فَامْسَحُوا بِوُجُوهِكُمْ وَأَيْدِيكُم مِّنْهُ
সূরা হিজর- ১৬
وَلَقَدْ جَعَلْنَا فِي السَّمَاءِ بُرُوجًا وَزَيَّنَّاهَا لِلنَّاظِرِينَ
সূরা ইউসুফ- ৩১
فَلَمَّا رَأَيْنَهُ أَكْبَرْنَهُ وَقَطَّعْنَ أَيْدِيَهُنَّ وَقُلْنَ حَاشَ لِلَّهِ مَا هَٰذَا بَشَرًا إِنْ هَٰذَا إِلَّا مَلَكٌ كَرِيمٌ
সূরা যুমার- ৬৯
وَأَشْرَقَتِ الْأَرْضُ بِنُورِ رَبِّهَا
সূরা ত্বীন- ৪
لَقَدْ خَلَقْنَا الْإِنسَانَ فِي أَحْسَنِ تَقْوِيمٍ
সূরা বাকারাহ- ৬৯
قَالُوا ادْعُ لَنَا رَبَّكَ يُبَيِّن لَّنَا مَا لَوْنُهَا ۚ قَالَ إِنَّهُ يَقُولُ إِنَّهَا بَقَرَةٌ صَفْرَاءُ فَاقِعٌ لَّوْنُهَا تَسُرُّ النَّاظِرِينَ
সূরা আ’রাফ- ১০৮
وَنَزَعَ يَدَهُ فَإِذَا هِيَ بَيْضَاءُ لِلنَّاظِرِينَ
সূরা হিজর- ১৬
وَلَقَدْ جَعَلْنَا فِي السَّمَاءِ بُرُوجًا وَزَيَّنَّاهَا لِلنَّاظِرِينَ
শুকরান জাযিলান। আল্লাহ তাআলা উপকৃত করুন। আমীন।