এই প্রকার যাদু যেভাবে করা হয়ে থাকেঃ
যাদুকর কোন জিনকে এই কাজের দায়িত্ব অর্পণ করে বলে যে, অমুক ব্যক্তিকে নিদ্রা ও জাগ্রত অবস্থায় ভীতিজনক কিছু দেখাও। অতঃপর সেই জ্বীন নিদ্রা অবস্থায় স্বপ্লের মাধ্যমে ভয়ঙ্কর জন্তুর রূপ ধারণ করে ভীতি প্রদর্শন করে। আর কখনও জাগ্রত অবস্থায় রোগীর পরিচিত কারো কন্ঠে আবার কখনও অপরিচিত কারো কন্ঠে ভীতিজনক আওয়াজে তাকে ডাকে। প্রতিক্রিয়া, লক্ষণ, উপসর্গ বা সমস্যা যাদুর শক্তি অনুযায়ী কম বা বেশি হয়ে থাকে। এই যাদু দ্বারা আক্রান্ত হয়ে সমস্যা জটিল হতে হতে কখনও মানুষ পাগল হয়ে যায়। আর কখনও যাদু দূর্বল হলে তখন ওয়াসওয়াসা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকে।
এই জাদুর লক্ষণসমূহ-
১। ভীতিকর স্বপ্ন দেখা।
২। স্বপ্নে কাউকে ডাকতে দেখা।
৩। জাগ্রত অবস্থায় বিভিন্ন আওয়াজ শোনা অথচ কাউকে দেখতে না পাওয়া।
৪। ওয়াসওয়াসা বৃদ্ধি পাওয়া।
৫। নিকটাত্মীয় ও বন্ধুদের সম্পর্কে অতিমাত্রায় সন্দেহ সৃষ্টি হওয়া।
৬ স্বপ্নে উচু স্থান থেকে নিচে পড়ে যেতে দেখা।
৭। স্বপ্লে ভয়ঙ্কর জন্তুকে দেখতে পাওয়া যা তাকে তাড়া করছে।
৮. রাতে অত্যধিক ভয় পাওয়া।
এই প্রকার যাদুর চিকিৎসাঃ
১। সকালে সূরা সাফফাত আর রাতে ঘুমানোর সময় পড়বে সূরা দুখান পড়বেন। অথবা শুনবেন।
২। প্রথমেই এক বসাতেই সূরা বাকারা একবার সম্পূর্ণ পড়বেন এরপর প্রতি তিনদিনে সম্পূর্ণ একবার পড়বেন। অথবা শুনবেন।
৩। ঘুমানোর পূর্বে ওযু করে নিবেন।
৪। প্রতিদিন রাতে ঘুমের সময় একবার আয়াতুল কুরসি পাঠ করবেন।
৫। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর সময় সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত একবার তিলাওয়াত করবেন।
৬। শোয়ার সময় এই দু’আ পড়বেন।
بِسْمِ اللَّهِ وَضَعْتُ جَنْبِي ، اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي ذَنْبِي ، وَأَخْسِئْ شَيْطَانِي ، وَفُكَّ رِهَانِي ، وَاجْعَلْنِي فِي النَّدِيِّ الْأَعْلَى
৭। নিম্নের সূরাসমূহের অডিও প্রত্যেক তিন বার করে শুনাবেনঃ সুরা ফুসসিলাত, সূরা ফাতাহ, সূরা ক্বফ, সূরা জ্বিন। সময় কম পেলে কম শুনবেন।
৮। রুকইয়াহ’র কমন আয়াত বা সিহরের কমন আয়াত ৩/৭ বার করে পড়ে বেশি পরিমাণে পানিতে ফুঁ দিয়ে রাখবেন।
এরপর এখান থেকে দৈনিক কয়েকবার বা যখনই পানি পানের প্রয়োজন হয় পান করবেন। গোসলের সময় অল্প পরিমাণ বা এক/হাফ গ্লাস পানি নিয়ে গোসলের পানিতে মিশিয়ে গোসল করবেন। উক্ত পড়া পানি শেষ করে হয়ে গেলে আবার নতুন করে পড়ে নিবেন।
৯। আর সকাল সন্ধ্যার ও অন্যান্য সময়ের হেফাজত মাসনুন আমল গুলো গুরুত্বসহকারে স্থায়ীভাবে চালিয়ে যাবেন।
এভাবে এক মাস চালাবে ইনশাআল্লাহ রোগী সুস্থ হয়ে যাবে।