শুধু মানুষের নজর নয় জ্বীনের নজরও লাগতে পারে মানুষের ওপর। কারণ জ্বীন জাতিরও মানুষের আকল-জ্ঞান ও অনুভূতি রয়েছে। বরং মানুষকে আছর ও বিভিন্ন ক্ষতি করার জন্য জ্বীনের প্রথম ও প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে নজর। এমনিভাবে জ্বীনের হাসাদও লাগতে পারে।
আবু সাঈদ খুদরী (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত,
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَتَعَوَّذُ مِنْ عَيْنِ الْجَانِّ وَأَعْيُنِ الإِنْسِ فَلَمَّا نَزَلَتِ الْمُعَوِّذَتَانِ أَخَذَهُمَا وَتَرَكَ مَا سِوَى ذَلِكَ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জ্বিন ও মানুষের কু-দৃষ্টি হতে আশ্রয় চাইতেন। তারপর সূরা ফালাক ও সূরা নাস নাযিল হলে তিনি এ সূরা দুটি গ্রহণ করেন এবং বাকীগুলো পরিত্যাগ করেন। (ইবনু মাজাহ ৩৫১১, নাসায়ী ৫৪৯৪, তিরমিজি ২০৫৮)
২। উম্মুল মু’মিনীন উম্মে সালামা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) হতে বর্ণিত,
عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ ـ رضى الله عنها ـ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَأَى فِي بَيْتِهَا جَارِيَةً فِي وَجْهِهَا سَفْعَةٌ فَقَالَ “ اسْتَرْقُوا لَهَا، فَإِنَّ بِهَا النَّظْرَةَ ”
রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার ঘরে এক মেয়ে বাচ্চার চেহারায় দাগ দেখে তিনি বলেছেন যে, তার নজর লেগেছে। তাকে রুকইয়াহ (ঝাড়ফুক) করাও। (বুখারীঃ ৫৭৩৯, মুসলিমঃ ৫৬১৮)
এই কালো বা হলুদ দাগ জ্বীনের বদনজরের কারণে হয়েছিল। নাজরুতুন দ্বারা সে দিকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে। অর্থাৎ তার নজর লেগেছে মানে হলো তার জ্বীনের নজর লেগেছে।
সুতরাং উপরোক্ত হাদীস দুটি হতে বুঝা যায়, মানুষ হতে যেমন বদনজর লাগে অনুরূপ জ্বীন হতেও বদনজর লাগে। এজন্য প্রত্যেক মুসলমানের উচিত সে যখন পোশাক খুলবে, আয়না দেখবে বা সে যে কর্ম করবে তখন যেন দু’আযিকির পড়ে যাতে সে নিজের, মানুষের ও জিনের বদনজর বা অন্য কোন কষ্ট হতে নিরাপদ বা সংরক্ষিত থাকতে পারে।