মানুষের জন্য দুনিয়াটা পরিক্ষার হল। বিপদ-আপদ সবকিছুতেই মুমিনের জন্য কল্যাণ রয়েছে। সুস্থতা অসুস্থতা দুটোই আল্লাহর নেয়ামত। তবে আমরা সুস্থতার নেয়ামতকেই চেয়ে থাকি। মানুষ মাত্রই প্রত্যেকেরেই কিছুনা কিছু অসুস্থতা বা রোগব্যাধি থাকবেই। কারো কম কারো বেশি, কারো অল্প সময়ের কারো দীর্ঘমেয়াদি। কারো ওষুধ কম লাগে কারো বেশি লাগে, কেউ অল্পতেই সুস্থ হয়ে যায়, কেউ দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকেন, কেউ প্রাকৃতিক উপায়ে রোগ কাটিয়ে উঠতে পারে কেউ চিকিৎসা গ্রহণ করে।
অসুস্থতা বা রোগব্যাধি বিভিন্ন কারণে হতে পারে। বদনজর হাসাদ জাদু ও জ্বীনের কারণে ও শারীরিক, মানসিক, আধ্যাত্মীক ও যেকোনো রোগব্যাধি ও সমস্যা হতে পারে। কোরআন হাদিসে সুস্পষ্টভাবে এইসব বিষয়ে বলা হয়েছে। প্রতিটি মুসলমান মাত্রই বিশ্বাস করতে হবে। কেউ বিশ্বাস না করলে তার ইমান থাকবে না। পবিত্র কোরআনে সূরা বনী ইসরাইলের ৮২ নাম্বার আয়াতে উল্লেখিত রয়েছে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন “আমি এমন কোরআন নাযীল করেছি যা রোগের জন্য শিফা ও মুমিনের জন্য রহমত।
জ্বীন জাদু ও বদনজরের সমস্যাকে আধুনিক ভাষায় প্যারানরমাল সমস্যা বলে থাকে। আমরা মূলত এসব সমস্যা এবং এর সমাধান ও চিকিৎসা নিয়েই আলোচনা করবো ও জানবো। এর জন্য কোরআন হাদিসে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা রয়েছে এবং নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। যাকে তিব্বে নববী বা নববী চিকিৎসা বলা হয়।
নববী চিকিৎসায় এসবের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা ও পদ্ধতি বর্ণিত রয়েছে; যেমন রুকইয়াহ, হিজামা, ভেষজ ব্যহার ইত্যাদি। আমরা মূলত সেসব বিষয়েই বিস্তারিত জানবো ইনশাআল্লাহ; যেন বদনজর জাদু ও জ্বীন শয়তানের ভয়ংকর প্রভাব সম্পর্কে সতর্ক হতে পারি এবং নিজেদেরকে রক্ষা করতে করি ও সুস্থ হতে পারি।
এখানে প্রথম চ্যালেঞ্জ হচ্ছে “বদনজর, যাদু, জ্বীন ও জ্বীনের আসর” এসবের অস্তিত্ব অনেকে বিশ্বাসই করতে চায়না। কেউ বিজ্ঞানের দোহাই দেয়, আবার কেউ এসব স্রেফ কুসংস্কার মনে করে উড়িয়ে দেন। যারা ইসলামে বিশ্বাস করেননা, বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে এসব অস্বীকার করেন তারা আমাদের অডিয়েন্স না। আমাদের মুখ্য হচ্ছে ঈমানদার ভাই এবং বোনেরা; যারা এব্যাপারে সন্দিহান এবং সুস্থ হতে চাচ্ছেন। তবে যে কেউ চাইলে রুকইয়াহ’র মাধ্যমে উপকৃত হতে পারেন।
অমুসলিমরাও রুকইয়াহ করতে পারেন, কোরআন সকলের জন্যই শিফা। আর মুসলিম অতি বিজ্ঞান মনস্ক ভাইবোনদের বলবো আমাদের কথা বিশ্বাস করুন বা নাই করুন কোরআন হাদিস একটু রিসার্চ করে দেখুন সবকিছু দিনের আলোর মত পরিষ্কার হয়ে যাবে, সবকিছু বুঝতে পারবেন। মুসলিম হিসেবে কোরআন সুন্নাহের কোনো বিষয়কে বিশ্বাস না করা, না মানা অগুরুত্বপূর্ণ মনে করার কোন সুযোগ নেই।
আল্লাহ তাআলা সবাইকে বুঝার তাওফিক, হেদায়েত ও পরিপূর্ণ সুস্থতা দান করুন আমীন।