বিবাহ বন্ধের জাদুর রুকইয়াহ

প্রাথমিক কিছু কথা

অনেকেই হিংসার বশবর্তী হয়ে অন্যকে বিয়ে আটকে রাখার বা বিলম্বিত হওয়ার বা না হওয়ার জন্য জাদু করে থাকে। এর ফলে সেই জাদুগ্রস্থ মেয়ে বা ছেলের বিয়ে হতে দেরী হয়, উপযুক্ত সময় বা বয়সে কোনভাবেই মেয়েকে বিয়ে দিতে পারে না বা ছেলেকে বিয়ে করাতে পারে না। বহুল প্রচলিত জাদু গুলোর মধ্যে এটি খুবই কমন। বিয়ে বিলম্বিত হওয়া মানেই জাদু করা হয়েছে তা নয়। তবে কারো মধ্যে যদি  জাদুগ্রস্থ হওয়ার লক্ষণগুলো প্রকাশ পায় তাহলে ধরে নেয়া যায় যে তাকে জাদু করা হয়েছে।

কাউকে বিবাহ আটকে রাখার যাদু করলে সাধারণত এমন দেখা যায় যে, তেমন কোনো প্রস্তাবই আসে না বা প্রস্তাব আসে ঠিকই কিন্তু সবকিছু পারফেক্ট থাকলেও পছন্দ হয়না। কিংবা পাত্রপক্ষ দেখে গিয়ে কোনো কিছু জানায় না। বিয়ের কথাবার্তা পাকাপাকি হওয়ার পরও বারবার কোনো কারণ ছাড়াই বিয়ে ভেঙে যায়। 

কাউকে বিবাহ আটকে রাখার যাদু করলে সাধারণত এমন দেখা যায় যে, তেমন কোনো প্রস্তাবই আসে না বা প্রস্তাব আসে ঠিকই কিন্তু সবকিছু পারফেক্ট থাকলেও পছন্দ হয়না। হয়তো ছেলে বেঁকে বসে, নয়তো মেয়ে। সবকথা পাকাপাকির হওয়ার পরও কোনো কারণ ছাড়াই বারবার বিয়ে ভেঙে যায়। কোনো পরিবারের কোনো অভিভাবক তুচ্ছ কোনো কারণে বিয়েতে রাজি হয়না। কিংবা পরিবারের মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়েই ঝগড়াঝাঁটি মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়ে যায়। 

অনেক মেয়েদের ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেক গুণবতী হওয়া সত্ত্বেও কোনো প্রস্তাব আসে না। কিংবা বিয়েতে আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও প্রস্তাব আসলে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে, ফলে বিয়েতে রাজি হয়না, বা প্রস্তাবদাতার ব্যপারে প্রচুর পরিমাণে অহেতুক সন্দেহ সৃষ্টি হতে থাকে এবং পছন্দ খারাপ লাগে। 

অনেক সময় দেখা যায় যে মেয়ের বিয়ে আটকে রাখার যাদুতে আক্রান্ত তার বিবাহ সম্পর্কে আলোচনার জন্য যেই আসে কিংবা প্রস্তাবদাতা বা পাত্র মেয়ে দেখতে আসলে তার অস্বস্তি লাগে, অস্থির লাগে, দম বন্ধ হয়ে, মাথা ব্যথা করে, পাত্রীর ব্যপারে প্রচুর সন্দেহ সৃষ্টি হয় ফলে কথাবার্তা ফাইনাল করা ছাড়াই ফিরে যায়। কিংবা পাত্রী পক্ষের মনে হয় যেন মেয়েকে খুব পছন্দ হয়েছে পাত্রপক্ষ থেকে, দ্রুতই বিয়ে সম্পন্ন করে ফেলবে কিন্তু বাসায় গিয়ে আর কিছু জানায় না।

কিভাবে এই জাদু করা হয়? 

বিয়ের বিরোধী ও হিংসুক ব্যক্তি খবীস যাদুকরের কাছে গিয়ে আবদার করে যে, অমুককে বিয়ে বন্ধের যাদু করে দিন, যেন তার বিয়ে না হয়। যাদুকর তাকে বলে, তুমি সেই মেয়ের কোন বস্তু যেমনঃ চুল, কাপড় ইত্যাদি তার শরীরের বা ব্যবহৃত যেকোনো কিছু এনে দাও। আর তার ও তার মায়ের নাম এনে দাও। এরপর যাদুকর এইসমস্ত জিনের মাধ্যমে বিভিন্ন উপায়ে যাদু করে। আর এই কাজের জন্যে জ্বিন নির্ধারণ করে। অতঃপর জ্বিন সেই মেয়ে অথবা ছেলের পিছু করতে থাকে। আর নিম্নের যে কোন এক অবস্থায় পেলে তার মধ্যে প্রবেশ করেঃ

১। অতিরিক্ত ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায়।

২। অতি মাত্রায় রাগাম্বিত অবস্থায়।

৩। অতি উদাসীনতা অবস্থায়।

৪। অশ্লীলতায় নিমজ্জিত থাকার সময়।

এক্ষেত্রে জ্বিন দু’অবস্থার কোনো এক অবস্থা গ্রহণ করেঃ

১। হয়ত মেয়ের মধ্যে প্রবেশ করে তারপর তার অন্তরে ঘৃণা জন্মায় ফলে যে ব্যক্তিই তাকে প্রস্তাব দেয় তা প্রত্যাখ্যান করে।

২। মহিলার ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না। আর প্রবেশ করতে পারলে জ্বীন শয়তান বাহির থেকে কল্পনা ও ওয়াসওয়াসার যাদু করে। পাত্র বা পাত্রপক্ষের অন্তরে ওয়াসওয়াসা দেয় যে মেয়ে অসুন্দর ও কুৎসিত। মেয়েদের ক্ষেত্রেও তাই করে। ফলে ছেলে বা মেয়ে রাজি হয়না।

এজন্যই দেখবেন যে প্রত্যেক যে পাত্রই এই মেয়েকে প্রস্তাব দেয় তারা তাকে প্রত্যাখ্যান করে। আর যদি সে প্রথমে রাজিও হয় তবে সে কিছু দিন পরে প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নেয়, বা পিছিয়ে যায় বা কিছুই জানায়না, কোনো ধরনের যোগাযোগ করে না। আর এটি শয়তানের ওয়াসওয়াসার কারণেই হয়।

আর জটিল যাদুর ক্ষেত্রে এরকম হয় যে, যখন পাত্র সেই মেয়ের ব্যাপারে বিয়ের প্রস্তাবের জন্য বা বিয়ের আলোচনার জন্য আসে বা মেয়েকে দেখতে আসে তখন ঘরের দরজায় প্রবেশের সাথে সাথেই বা কিছুক্ষণ পরেই তার অস্থিরতা বোধ হয়, মাথাব্যথা ও যন্ত্রণা করে, মনে হয় যেন সে জেলখানায় এসেছে। ফলে সে দ্রুত সেখান হতে বিদায় হয়ে যায়। এরপর আর সে আর কখনো ফিরে আসে না।

আর এদিকে জ্বীন শয়তান কিছুক্ষণ পর পর মেয়েরও মাথাব্যথা, অস্থিরতা ও অস্বস্তি সৃষ্টি করে।

বিবাহ আটকে রাখার যাদুর লক্ষণ:


১. কোনো কারণ ছাড়াই প্রায়ই সর্দি লেগে থাকা।
২. অতিরিক্ত চিন্তা ও মানসিক অস্থিরতা।
৩. বুকে তীব্র টান বা সংকীর্ণতা অনুভব করা, বিশেষ করে বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত।
৪. প্রায়ই বা মাঝেমধ্যে অনবরত পেট ব্যথা অনুভব করা।
৫. ব্যাক পেইন বা পিঠের নিচের দিকে কোমরে মেরুদন্ডের হাড়ে ব্যথা করা।
৬. সামান্য কিছুতেই হুট করে রেগে যাওয়া। কিংবা বিয়ের কথা বললেই রেগে যাওয়া।
৭. সর্বদা মাথায় আজেবাজে চিন্তা আসা।
৮. প্রায়শই মাথা ব্যথা থাকা, যা ওষুধেও ভালো হয় না।
৯. নিদ্রাহীনতা বা রাতে ঠিকঠাক মত ঘুমাতে না পারা।
১০. ঘুমের মধ্যে অস্বস্তি বোধ করা।
১১. ঘুমের মধ্যে ভয় পাওয়া
১২. ঘুম থেকে উঠার পর দীর্ঘক্ষণ কষ্ট অনুভব করা।
১৩. সবসময় শুধু ঘুমঘুম লাগা, বিছানায় শুয়ে থাকতে ইচ্ছে করা।
১৪. মত ভালো প্রস্তাবই হোক কোনটাই মনমতো না হওয়া।
১৫. বিয়ের প্রস্তাবদাতাকে অসুন্দর ও অপছন্দ লাগা।
১৬. প্রস্তাবদাতাকে অযথাই সন্দেহ দৃষ্টিতে দেখা।
১৭. অকারণেই প্রস্তাবদাতাকে খারাপ মনে হওয়া।
১৮. সুস্থ থাকলেও প্রস্তাব আসলেই বা বিয়ের কথাবার্তা শুরু হলেই অসুস্থ হয়ে যাওয়া।
১৯. কোনো কারণ ছাড়াই বিয়েতে আগ্রহ না থাকা।
২০. প্রস্তাব আসার পূর্বে পূর্ণ আগ্রহ থাকলেও প্রস্তাব আসার বিয়ের আগ্রহ হারিয়ে ফেলা।
২১. বিয়ের কথাবার্তা শুরু হলেই দিন দিন চেহারা ও স্বাস্থ্য নষ্ট হয়ে যাওয়া।
২২. পাত্রপক্ষ দেখতে আসলে চেহারা মলিন/ফেকাসে বা কালো হয়ে যাওয়া।
২৩. একদমই প্রস্তাব না আসা বা বারবার প্রস্তাব এসে ফিরে যাওয়া।
২৪. দূর থেকেই কথাবার্তা বলেই চলে যাওয়া।
২৫. পুরোপুরি সুস্থ থাকলেও পাত্রপক্ষ দেখতে আসলে অশান্তি ও অস্থিরতা লাগা।
২৬. দেখতে আসলে মাথা ব্যথা করা বা অস্বস্তি বোধ করা।
২৭. কোনো কিছু করতে গেলে অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে যাওয়া।
২৮. অতিরিক্ত চুল পড়া, শ্যাম্পুতেও চুল পড়া বন্ধ না হওয়া।
২৯. অনিয়মিত ঋতুস্রাব, চিকিৎসা করেও ব্যর্থ হওয়া।
৩০. প্রায়ই স্বপ্নে খেতে দেখা।
৩১. কোনো ছাড়াই ওজন বাড়তে থাকা। বা অস্বাভাবিক থায়রয়েড এর সমস্যা হওয়া।

উল্লেখ্য- উপরোক্ত লক্ষণগুলোর পাশাপাশি জ্বীন আছরের লক্ষণগুলোও থাকতে পারে। তাই সেগুলোও দেখা উচিত। আশিক জ্বীনের কারণেও বিয়ে হতে দেরী হয় এবং বিয়ে হলেও অনেকের ভেঙ্গে যায় অনেক সময়। এর কয়েকটি লক্ষণ হচ্ছে – সবসময় মাথায় অশ্লীল চিন্তা ঘুরপাক করা, ফিজিক্যাল রিলেশন টাইপের স্বপ্ন দেখা।

যাদু, বদনজর ও জ্বীনের কারণে ছেলেদেরও বিয়ে করতে বিলম্বিত হতে পারে। যদি কারো এমন হয় তাহলে আপনিও উপরের লক্ষণ গুলো আপনার সাথে মিলিয়ে দেখে নিন। কিংবা সরাসরি বা সেলফ রুকইয়াহ করতে দেখা উচিত।

বিঃদ্রঃ- উপরোল্লেখিত লক্ষণগুলোর কিছু শারীরিক মানসিক বিভিন্ন সমস্যার কারণেও হতে পারে। তাই দুই একটা লক্ষণ হঠাৎ কখনও দেখা দিলে যাদু করা হয়েছে বা বান মারা হয়েছে বলে ধরে নেয়া যায়না। তবে এর থেকে ৫/৭ টার উপরে বা অধিকাংশ লক্ষণ কারো মাঝে থাকে, আর ডাক্তারী পরীক্ষায় কোনো সমস্যা বা সমস্যার কারণ ধরা না পড়ে কিংবা মেডিক্যাল চিকিৎসা করেও ভালো না হয় তাহলে যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে যে জাদু করা হয়েছে বা জ্বীনের সমস্যা আছে। তাই সরাসরি রুকইয়াহ করে সমস্যা আছে কিনা নিশ্চিত হয়ে নেয়া উচিত।

রুকইয়াহ চিকিৎসা

প্রথমে পাক-পবিত্র হয়ে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ুন। এরপর দু’হাত তুলে আল্লাহর কাছে আপনার সমস্যা থেকে পরিত্রাণের জন্য এবং সুস্থতার জন্য দু’আ করুন, তারপর দরুদ ইস্তিগফার পড়ে ট্রিটমেন্ট শুরু করুন।

সমস্যা বুঝতে পারলে প্রথমে রাকির কাছে সরাসরি ডায়াগনোসিস রুকইয়াহ করে ট্রিটমেন্ট রুকইয়াহ করুন। আর নিজে নিজে সেলফ রুকইয়াহ করতে চাইলে নিচের নিয়মে রুকইয়াহ করুন। 

সেলফ রুকইয়াহ প্রেসক্রিপশন

১. সিহরের আয়াত গুলো প্রতিদিন সকাল বিকাল দুইবার করে তিলাওয়াত করবেন। 

২. সূরা ফালাক প্রতিদিন সকাল বিকাল আধা চা ৪৫ মিনিট করে দুইবার তিলাওয়াত করবেন। 

৩. আয়াতুল কুরসি আধা ঘন্টা করে প্রতিদিন দুইবার তিলাওয়াত করবেন।

৪. গিঁট নষ্টের আয়াত গুলো আধা -৪৫ মিনিট করে বা যতবেশি সম্ভব প্রতিদিন দুইবার তিলাওয়াত করবেন।

৫. প্রতিদিন সকাল বিকাল দৈনিক দুই বার সূরা বাকারাহ তিলাওয়াত করুন। (সম্ভব না হলে ভাগ করে প্রতি তিন দিনে একবার পড়তে পারেন।)

৬. তিলাওয়াত করতে না পারলে এইগুলোর অডিও রেকর্ড শুনবেন।

৭. সময় কম পেলে সিহরের কমন আয়াত ও গিঁট বান নষ্টের আয়াত গুলো প্রতিদিন আধা ঘন্টা বা এক ঘন্টা পাঠ করবেন কিংবা এগুলোর অডিও শুনবেন।

৮. সূরা ইয়াসিন, সফফাত, দুখান, জ্বীন, যিলযাল এই সূরা গুলোও তিলাওয়াত করতে ভালো। তিলাওয়াত করা না গেলে আট সূরা রুকইয়াহ নামে অডিও রেকর্ড টি শুনতে পারেন। ঘুমের সমস্যাও আট সূরা রুপিয়াহ উপকারী।

রুকইয়াহ সাপ্লিমেন্ট ব্যবহার

১. সিহরের কমন আয়াত ও সূরা গুলো তিন বার করে পড়ে কালোজিরা, কালোজিরার তেল ও পানিতে শিফার নিয়তে সামান্য থুথু মিশ্রিত ফুঁ দিবেন। 

এরপর ওই কালোজিরা প্রতিদিন অল্প অল্প করে খাবেন।  আর কালোজিরার তেল কপালে এবং যে অঙ্গে ব্যথা হয় সেখানে মালিশ করবেন সকাল-বিকেল দৈনিক দুই বার। 

২. আর পানি প্রতিদিন কয়েকবার পান করবেন এবং যখনই পানি পানের প্রয়োজন হবে তখনই পান করবেন। শেষ হওয়ার আগেই আবার মিশিয়ে নিবেন। তবে নতুন করে পড়ে নিলেই ভালো। 

৩. আর পুরো বাসায় প্রতিদিন সকাল বিকাল দৈনিক দুই বার পড়া পানি স্প্রে করবেন। প্রতিদিন করা সম্ভব না হলে প্রথমে একাধারে ৫/৭ দিন করে তারপর কয়েক দিন গ্যাপ রেখে আবারও কয়েকদিন স্প্রে করবেন।

রুকইয়াহ গোসল:

১. পান করার জন্য তৈরি করা পড়া পানি থেকে আধা গ্লাস বা এক গ্লাস পানি নিয়ে গোসলের পানিতে মিশিয়ে গোসল করবেন। এভাবে প্রতিদিন গোসল করবেন, বা যেদিন গোসল করবেন সেদিন এভাবে রুকইয়াহ’র গোসল করবেন। 

২. মাঝেমধ্যে একাধারে ৩/৭/১৪ দিন বরই পাতার গোসল করবেন। ( বরই পাতা গোসলের নিয়ম পরে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ)

এভাবে ৭ দিন থেকে এক মাস পর্যন্ত রুকইয়াহ করুন। যদি যদি সুস্থ হয়ে যান তো আলহামদুলিল্লাহ। এরপরও সমস্যা বুঝতে পারলে প্রেসক্রিপশনের মেয়াদ বাড়িয়ে নিন এবং একই নির্দেশনা ফলো করুন। প্রয়োজনে আবার রাকির কাছে সরাসরি রুকইয়াহ করুন এবং অবস্থার উন্নতি ও সমস্যা অনুযায়ী রাকির পরামর্শ ফলো করুন। 

এই যাদুর রুকইয়াহ শুরু করার পূর্বে এক সপ্তাহ বদনজরের রুকইয়াহ করে নিলে ভালো হবে। এটা যেকোনো যাদুর রুকইয়াহ’র ক্ষেত্রেই। কারণ প্রতিটি জাদু ও জ্বীনগ্রস্থ ব্যক্তিই মানুষের ও জ্বীনের প্রচুর নজর হাসাদ দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকেন।

দ্রুত বিয়ে হওয়ার আমল।

আল্লাহ পাক যেন দ্রুত বিবাহের ব্যবস্থা করে দেন এবং উত্তম জীবনসঙ্গী মিলিয়ে দেন- এই নিয়ত করে নিমনোল্লিখিত আমলগুলো নিয়মিত করবেন। 

১। নিস্বার্থ কারো উপকার করুন। ( সাধ্যমত, নিজের সর্বস্ব দিয়ে নয়।) 

২। সূরা ক্বসাস এর ২৪নং আয়াতের শেষাংশ বেশি বেশি পড়ুন-

رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنْزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيرٌ

উচ্চারণঃ “রব্বি ইন্নি লিমা আংযালতা ইলাইয়্যা মিন খইরিং ফাক্বীর” বারবার পড়ুন।

এ দুটি কাজ করার পর নবী মূসা আঃ এর বিবাহ, বাসস্থান ও রিযিকের ব্যবস্থা হয়েছিল।

৩। সূরা ফুরকানের ৭৪ নং আয়াত বেশি বেশি পড়ুন।

رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا. 

৪। বেশি বেশি “আস্তাগফিরুল্লাহ” পড়ুন।

৫। বেশি বেশি দুআ করুন। বিশেষ করে দুআ কবুল হওয়ার সময়গুলো একটাও যেন দুআবিহীন না যায়।

৬। প্রতিদিন সম্ভব হলে তাহাজ্জুদ, সালাতুল হাজাত ও নফল নামায পড়ুন। অন্তত প্রতিদিন যেকোনো সময় দুই রাকাত হলেও নফল পড়া।

৭। অন্য মুসলিম ভাইবোনের জন্য বিয়ের দুআ করুন।

৮। নিয়মিত কমবেশি সাধ্যমত সদকা করুন।

৯। মা-বাবার সাথে ভালো সম্পর্ক রাখাও জরুরি।

১০। বেশি বেশি (যেকোনো) দরুদ পাঠ করুন।

শেয়ার করুন -

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top