রুকইয়াহ কী? রুকইয়াহ কেন গুরুত্বপূর্ণ?
রুকইয়াহ কী? রুকইয়াহ হচ্ছে পবিত্র কুরআন এবং সহীহ হাদীসের আলোকে দোয়া ও নির্দিষ্ট আয়াত দ্বারা চিকিৎসা করার একটি ইসলামি পদ্ধতি।…
“সুন্নাহ কিউর” এর প্রাথমিক লক্ষ্য হল জনসাধারণদের শারীরিক, মানসিক, আধ্যাত্মিক বিভিন্ন সমস্যার শরীয়াহ সমর্থিত উপায়ে কার্যকর চিকিৎসা প্রদান করা। আমরা কাউন্সেলিং, হিজামা এবং রুকইয়াহ সেবা দিয়ে থাকি। আমাদের যাত্রার লক্ষ্য হল আল্লাহর সাহায্য নিয়ে পার্থিব জীবনের শারীরিক ও মানসিক ব্যাধি, অশান্তি, অস্থিরতা এবং অদৃশ্যমান সমস্যা থেকে মুক্তির পর একটি সুখী জীবন উপহার দেওয়া। আমরা শারীয়াহ-সম্মত, সুন্নাহ, মুবাহ এবং অর্গানিক পদ্ধতিতে শারীরিক, মানসিক, শরীরী ও অশরীরী সকল সমস্যার চিকিৎসা করে থাকি।
“সুন্নাহ কিউর” প্রতিষ্ঠানটি দক্ষ ও অভিজ্ঞ আলেম রাকী দ্বারা পরিচালিত।
রুকইয়াহ (Ruqyah) অর্থ হল ঝাড়ফুঁক। জ্বীন, জাদু, বদনজর ও শারীরিক, মানসিক এবং আধ্যাত্মিক অসুস্থতা নিরাময়ের কোরআন সুন্নাহ ভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি হল রুকইয়াহ। কোরআনের নির্দিষ্ট আয়াত, হাদিসে বর্ণিত দোয়া এবং নববী চিকিৎসায় প্রয়োগকৃত ও বর্ণিত এবং শরীয়াহ সমর্থিত পদ্ধতি অবলম্বন করে এ চিকিৎসা করা হয়।
হিজামা / কাপিং থেরাপি একটি বিজ্ঞানসম্মত ইসলামিক চিকিৎসা। রাসূল (ﷺ) এটিকে শ্রেষ্ঠ চিকিৎসা হিসেবে অভিহিত করেছেন। এর মাধ্যমে শরীরের নির্দিষ্ট কিছু অংশ থেকে ভ্যাকুয়াম কাপের সাহায্যে ব্যথামুক্ত ভাবে নেগেটিভ প্রেশার দিয়ে শরীরের সব ধরনের টক্সিন, ইউরিক এসিড, নিস্তেজ প্রবাহহীন দূষিত রক্ত বের করে আনা হয়।
জ্বীন জাদুর সমস্যা নিয়ে অনেকেরই দ্বিধাদ্বন্দ থাকে, যার ফলে চিকিৎসা গ্রহণ করার পূর্বে প্রাথমিক ধারণা ও পরামর্শ নিতে চান। এর জন্য আমরা রোগীর হিস্ট্রি, সমস্যা বিস্তারিত শুনে ডায়াগনোসিস করে সমস্যা বের করার চেষ্টা করি। এরপর সমাধানের জন্য সঠিক দিকনির্দেশনা ও পরামর্শ এবং সেলফ রুকইয়াহ সাজেশন দিয়ে থাকি।
সুন্নাহ কিওর অভিজ্ঞ আলিম রাকি’র তত্বাবধানে কোরআন সুন্নাহ ভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকে। আমাদের সেন্টারের মূল বৈশিষ্ট্য হলো —
১. কোন হারাম ও ক্ষতিকর পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় না এবং যথাসাধ্য সময় দিয়ে রুকইয়াহ করা হয়।
২. যথাসাধ্য যাচাই বাছাই ও অভিজ্ঞতার আলোকে মূল সমস্যাটি বের করে সঠিক সমাধান ও চিকিৎসা প্রদান করার সর্বাত্মক চেষ্টা করা হয়। তাই যথাযথ সমস্যা না বুঝেই প্যারানরমাল/জ্বীন জাদুর রোগ বলে চালিয়ে দেয় না।
৩. পরিপূর্ণ পর্দা মেনে চলার চেষ্টা হয় আলহামদুলিল্লাহ। বিশেষ করে মহিলা রোগীদের জন্য পরিপূর্ণ পর্দা মেনে চলা ও মাহরাম নিয়ে আসা বাধ্যতামূলক।
৪. অভিজ্ঞ আলিম রাকি’র তত্বাবধানে পরিচালিত তাই পদ্ধতিগত শুদ্ধতায় আস্তা রাখতে পারেন।
৫. এছাড়াও রুকইয়াহ শেষে সেলফ রুকইয়াহ প্রদান এবং রোগীদের দীর্ঘদিন ফলোআপে রেখে চিকিৎসা করাও আমাদের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য।
৬. আমাদের রয়েছে এমবিবিএস ডক্টরের অধীনে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অভিজ্ঞ একাধিক হিজামা থেরাপিস্ট।
৭. নারীদের জন্য রয়েছে সম্পূর্ণ পর্দার সহিত অভিজ্ঞ মহিলা থেরাপিস্টের মাধ্যমে হিজামা করার ব্যবস্থা।
আমি সুস্থতার জন্য আল্লাহর কাছে অনেক প্রার্থনা করেছি। সেলফ রুকিয়ার পাশাপাশি রাকির তত্বাবধানে থাকার সিদ্ধান্ত নিই। আল্লাহর কাছে চেয়েছি,আল্লাহ যেন আমাকে এমন রাকি পাইয়ে দেন যিনি হবেন অভিজ্ঞ এবং আমার ভাইয়ের মত ও সঠিকভাবে সমস্যা নির্ণয় করে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। "সুন্নাহ কিউর" আমার সেই আস্থার স্থান হয়ে উঠেছে। রাকি ভাইয়ের উসিলায় অনেক উপকৃত হয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। অনেক দোয়া ও শুভকামনা সুন্নাহ কিউরের সাথে জড়িত রাকিভাই ও সকল পেশেন্টদের জন্য।
আমাতুল্লাহ মারইয়াম
আমি একজন ডেন্টিস্ট, আমি মূলত আশিক জ্বীন ও জাদুর ভয়ানক পেশেন্ট ছিলাম। ৭-৮ বছর কবিরাজ, মাজার ও বিভিন্ন জায়গায় যেয়েও কোনো কাজ হয়নি। প্রায় ২৮ বছর হওয়ার পরও বিয়ে হচ্ছিল না। অবস্থা গুরুতর হয়ে গেলে রুকইয়াহ'র সন্ধান পাই এবং এই রাক্বী হুজুরের কাছে রুকইয়াহ করি। ১ বছর+ সরাসরি ও সেলফ রুকইয়াহ'র পর এখন আলহামদুলিল্লাহ সুস্থ আছি, জ্বীন চলে গেছে, দুই বছর হল বিয়ে হয়েছে আর একটা বেবিও আছে এখন। রাকি মুফতী দিলাওয়ার হুসাইন অনেক পরিশ্রম করেছেন এবং উনি অনেক অভিজ্ঞ ও দক্ষ একজন রাকি মাশাআল্লাহ। কারো জ্বীন জাদু সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যায় আমি উনার প্রতিষ্ঠান সুন্নাহ কিওর কে সুপারিশ করছি।
রুকইয়াহ ও হিজমা'র জন্য সুন্নাহ কিওর একটি আস্থাবান নির্ভরযোগ্য একটি প্রতিষ্ঠান। এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক "মুফতী দিলাওয়ার হুসাইন" সাহেব আমার পরিচিত একজন বিশিষ্ট সিনিয়র রাকী ও অভিজ্ঞ হিজামা থেরাপিস্ট। দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সাথে এই প্রতিষ্ঠানটি সেবা দিয়ে যাচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ।
আলহামদুলিল্লাহ! সুন্নাহ কিউর একটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান। এর পরিচালক Mufti Dilawar Hussain সাহেব আমার পরিচিত একজন বিজ্ঞ রাক্বী ও হিজামা থেরাপিস্ট । তার থেকে অনেক রোগী রুকইয়াহ সেবা নিয়ে ভালো আছে এবং সুস্থ জীবন যাপন করছেন। মা শা আল্লাহ
রুকইয়াহ কী? রুকইয়াহ হচ্ছে পবিত্র কুরআন এবং সহীহ হাদীসের আলোকে দোয়া ও নির্দিষ্ট আয়াত দ্বারা চিকিৎসা করার একটি ইসলামি পদ্ধতি।…
নবী মুহাম্মদ (সা.) নিজে রুকইয়াহ করতেন এবং সাহাবীদেরকেও রুকইয়াহ করতে শিখিয়েছেন। নবী (সা.) বেশ কিছু সূরা ও আয়াত দিয়ে রুকইয়াহ…
বাচ্চাদের ইমিউন সিস্টেম তথা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল থাকায় তারা অল্পতেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। আবার বাচ্চাদের ওপর বদনজরও লাগে অনেক বেশি।…
জ্বীনের পরিচয়:জ্বীন (الجن) একটি আরবী শব্দ। জ্বীন শব্দটি জান্নাহ ক্রিয়া থেকে নির্গত। অর্থ হচ্ছে গোপন, অদৃশ্য, অন্তরাল, লুকায়িত আবৃত, আড়াল…
ওয়াসওয়াসা কী?ওসিডি বা শূচিবাই হচ্ছে একটি মানসিক ও আচরণগত রোগ। মেডিকেল সাইন্সে এটিকে অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিজঅর্ডার (Obsessive Compulsive Disorder) বলা…
প্রথমে জেনে নিন যে আপনার সিহর তথা জাদু বা ব্ল্যাক ম্যাজিক এর সমস্যা আছে কিনা। জ্বীন, জাদু বা বদনজর প্রতিটার…
রুকইয়াহ হল একটি চিকিৎসা পদ্ধতি। জ্বীন জাদু বদনজর ও শারীরিক মানসিক বিভিন্ন সমস্যার জন্য রুকইয়াহ করা হয়। রাসূল সাঃ নিজেও রুকইয়াহ করেছেন এবং অন্যদেরকে আদেশও করেছেন।
না হাজিরা দেখা হয় না, কাউকে দেখে কিছু বলা যায় না, জ্বীন দিয়ে কাজ করানো হয় না, এগুলো নাজায়েজ ও হারাম এবং জাদুকর ও শয়তানের কাজ।
লক্ষণ মিলিয়ে, রুকইয়াহ অডিও শুনে। অডিও শুনে ইফেক্ট হলে বুঝবেন সমস্যা আছে। কিংবা সরাসরি রাকি’র কাছে রুকইয়াহ টেস্ট করে বুঝতে পারেন।
হিজামা একটি সুন্নাহ ভিত্তিক বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা। ভ্যাকুয়াম কাপের সাহায্যে নেগেটিভ সাকশন দিয়ে এ চিকিৎসা করা হয়। বর্তমানে সারা বর্তমানে সারা বিশ্বেই এটি গ্রহণযোগ্য ও বহুল প্রচলিত। রাসূল সাঃ নিজেও হিজামা গ্রহণ করেছেন।
না, তবে ছোট ছোট ক্র্যাচ করার সময় সামান্য ব্যথা অনুভব হয়। কিন্তু এতটাই সামান্য যে এটাকে ব্যথা বলা যায় না। বরং পিঁপড়ার কামড়ের চেয়েও কম ব্যথা অনুভূত হয়।